Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
June 14, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, JUNE 14, 2025
বঙ্গবন্ধুর যত প্রথম

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
17 March, 2020, 09:55 am
Last modified: 17 March, 2020, 01:00 pm

Related News

  • বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি; আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্সরাও পেলেন স্বীকৃতি
  • ভিডিও: ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙা চলছে
  • ছবিতে সকালের ধানমন্ডি ৩২
  • বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়: কাদের সিদ্দিকী
  • বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের শিকার কাদের সিদ্দিকী

বঙ্গবন্ধুর যত প্রথম

টুঙ্গিপাড়ার একটি সাধারণ শিশু থেকে কী করে তিনি একটি জাতির মুক্তির প্রধান দিশারী হয়ে উঠলেন, চলুন জানা যাক তার জীবনের সেই ধাপগুলো।
টিবিএস ডেস্ক
17 March, 2020, 09:55 am
Last modified: 17 March, 2020, 01:00 pm
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চিত্রকর্ম: সাইদুল ইসলাম

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়ার একটি সাধারণ শিশু থেকে কী করে একটি জাতির মুক্তির প্রধান দিশারী হয়ে উঠলেন, চলুন জানা যাক তার জীবনের সেই ধাপগুলো। তার 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী', দেবব্রত দেব রায়ের 'বঙ্গবন্ধুর জীবনে স্মরণীয় ঘটনা', আবদুল গাফফার চৌধুরীর 'ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা', এস এ করিমের 'শেখ মুজিব ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি' এবং অন্যন্য বই ও নথির সূত্র ধরে সেই ইতিহাস হাজির করা হলো।

প্রথম পাঠশালা

১৯২৭ সাল। বঙ্গবন্ধুর বয়স সাত বছর। টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন তিনি। এই মিডল ইংলিশ স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা তারই ছোট দাদা খান সাহেব আবদুর রশিদ। তখনকার দিনে ওই এলাকায় এটিই ছিল একমাত্র ইংলিশ স্কুল। এখানে চতুর্থ শ্রেণির কিছুদিন পর্যন্ত তিনি পড়েছেন। তারপর বাবার সঙ্গে তার কর্মস্থল গোপালগঞ্জে চলে যান। ভর্তি হন গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে।

১৯৩৪ সাল। তিনি তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হওয়ায় হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে যায় তার। বাবা তাকে নিয়ে যান কলকাতায়, চিকিৎসা করাতে। চিকিৎসা ও বিশ্রামের জন্য দুই বছর পড়াশোনায় বিরতি পড়ে। 

১৯৩৬ সাল। বাবা মাদারীপুরে বদলি হলেন। তিনিও বাবার সঙ্গে সেখানে গিয়ে সপ্তম শ্রেণিতেই ভর্তি হলেন, মাদারীপুর হাই স্কুলে। কিন্তু আবারও অসুখে পড়লেন তিনি। এবার চোখে গ্লুকোমা। আবারও যেতে হলো কলকাতা, চিকিৎসার জন্য। 

১৯৩৭ সাল। চিকিৎসা শেষে ফিরে আর পুরনো স্কুলে পড়তে চাইলেন না তিনি। কারণ সহপাঠীরা ওপরের ক্লাসে উঠে গেছে। বাবা তাকে ভর্তি করিয়ে দিলেন গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে। 

১৯৪২ সাল। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল থেকে দ্বিতীয় বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করলেন তখনকার খোকা ওরফে মুজিব; আমাদের বঙ্গবন্ধু।

প্রথম দায়িত্বভার

১৯৩৭ সাল। আবদুল হামিদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর গৃহশিক্ষক। অসহায় ও দরিদ্র মুসলমান ছেলে-মেয়েদের জন্য একটি সমিতি গড়ে তুলেছেন তিনি। 'মুসলিম সেবা সমিতি'। ওই সমিতির সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও সমবয়সী অন্য ছেলে-মেয়েরা প্রতি রোববার বেরিয়ে পড়তেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল সংগ্রহ করতে। 

ওই চাল বিক্রির টাকা দিয়ে কেনা হতো গরিব ছেলে-মেয়েদের বই-খাতা; মেটানো হতো তাদের পরীক্ষার ফি ও পড়াশোনা বাবদ নানা খরচ। সব ভালোই চলছিল। একদিন হুট করে মারা যান আবদুল হামিদ। 

১৭ বছরের কিশোর শেখ মুজিব ভাবলেন, শিক্ষক নেই বলে সমিতি যদি বন্ধ হয়ে যায়, অনেক ছেলে-মেয়ের পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সমিতির সম্পাদকের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন এই জাতির আগামীর মহানেতা।

এটিই তার জীবনের প্রথম পদ। সমিতিকে দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য একজন শিক্ষককে বানালেন সভাপতি। টাকা-পয়সার হিসেব ওই শিক্ষকের কাছেই থাকত। বঙ্গবন্ধু যে নেতা হিসেবে বিচক্ষণ ছিলেন, এটি তার প্রথম প্রমাণ। 

তরুণ বয়সে বঙ্গবন্ধু

প্রথম জেল

১৯৩৮ সাল। মার্চ কিংবা এপ্রিল মাস। সন্ধ্যায় ফুটবল খেলে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। এমন সময় গোপালগঞ্জের খন্দকার শামসুল হুদা এসে জানালেন, বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী আবদুল মালেককে হিন্দু মহাসভার সভাপতি সুরেন ব্যানার্জির বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হচ্ছে। 

খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু এক মুহূর্ত দেরি করলেন না। এক ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে গেলেন সুরেন ব্যানার্জির বাড়ি। সেখানে গিয়ে মালেককে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেন। ছেড়ে দেওয়া দূরের কথা, উল্টো গালি খেতে হলো তাকে! কিশোর শেখ মুজিব প্রতিবাদ জানালেন। খবর পাঠিয়ে ডেকে আনলেন দলের ছেলেদের। 

খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধুর দুই মামা শেখ সিরাজুল হক ও শেখ জাফর সাদেকও লোকবল নিয়ে ছুটে এলেন। লেগে গেল দুই পক্ষের মারামারি! বঙ্গবন্ধুসহ অন্যরা দরজা ভেঙ্গে মুক্ত করে আনলেন মালেককে।

ওই ঘটনায় পুরো শহরে তখন তোলপাড়। হিন্দু নেতারা থানায় মামলা করলেন। খন্দকার শামসুল হককে করা হলো হুকুমের আসামি। এদিকে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধেও করা হলো কঠিন অভিযোগ। খুনের উদ্দেশ্যে নাকি তিনি হামলা করেছেন!

পরদিন বঙ্গবন্ধু জানতে পারলেন, তার মামাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকেও গ্রেপ্তার করতে চায় পুলিশ, কিন্তু সাহস পাচ্ছে না। কারণ বঙ্গবন্ধুর বাবাকে সবাই সমীহ করত। 

গ্রেপ্তার করতে গড়িমসি করে পুলিশ আসলে বঙ্গবন্ধুকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, 'আমি পালাব না। পালালে লোকে বলবে, আমি ভয় পেয়েছি।'

অনেক ইতস্তত করে পুলিশ যখন বঙ্গবন্ধুর বাসায় ঢুকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখাল, বাবা বললেন, 'নিয়ে যান।' কিন্তু দারোগা বলল, ও (বঙ্গবন্ধু) বরং খেয়ে-দেয়েই থানায় আসুক। সত্যি, খেয়ে-দেয়ে থানায় গিয়ে নিজেই ধরা দিয়েছিলেন কিশোর বঙ্গবন্ধু। 

থানা হাজতে মেয়ে আসামি না থাকায় তাকে মেয়েদের ওয়ার্ডে রাখা হলো। সেই দফায় সাত দিন পর জামিন পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। 

প্রথমদিকের ভাষণ

ছোটবেলা থেকেই জনসেবামূলক নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাই কোনটি তার প্রথম ভাষণ- সুনির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। কোনো বইয়েও এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। আত্মজীবনীতে তিনি রাজনীতি করার কারণে ভাষণ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। সেটি সম্ভবত ১৯৪৩ বা তার পরের কোনো এক সময়ের কথা। 

নিজের ইউনিয়নে নির্বাচনের সময় মুসলিম লীগের একটা সভা হয়েছিল। সেখানে তিনি বক্তব্য রেখেছিলেন। কেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক মুসলিম লীগ ত্যাগ করলেন, এখন কেন পাকিস্তান চান না, কেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সঙ্গে মন্ত্রিসভা গঠন করলেন- এসব বিষয়ে কথা বলেছিলেন সেই বক্তব্যে।

১৯৪৯ সাল। প্রিয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু

প্রথম রাজনৈতিক সক্রিয়তা

১৯৩৮ সাল। বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আসবেন গোপালগঞ্জে। করা হয়েছে বিশাল জনসভার আয়োজন। এ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিপুল আলোড়ন। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর ভার মিশন স্কুলের ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর। 

সভা শেষে মিশন স্কুল দেখতে গেলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। বঙ্গবন্ধুসহ অন্যরা তাকে সংবর্ধনা দিলেন। এরপর সোহরাওয়ার্দী যখন হেঁটে লঞ্চের দিকে চলছিলেন, বঙ্গবন্ধুও ছিলেন তার পাশে। তখন কিছু কথা হয় তাদের মধ্যে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী নোটবুকে বের করে বঙ্গবন্ধুর নাম-ঠিকানা লিখে নিলেন। কয়েক দিন পর পাঠালেন চিঠি। সেই চিঠিতে বঙ্গবন্ধুকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি কলকাতায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন সোহরাওয়ার্দী।

১৯৩৯ সাল। কলকাতা বেড়াতে গেলেন বঙ্গবন্ধু। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে দেখে করে বললেন, গোপালগঞ্জে মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগ গঠন করবেন। তার নেতৃত্বেই গড়ে উঠল গোপালগঞ্জের ছাত্রলীগ। সভাপতি হলেন খন্দকার শামসুদ্দীন। বঙ্গবন্ধু হলেন সম্পাদক। 

এদিকে সেখানে যখন মুসলিম লীগ ডিফেন্স কমিটি গঠন করা হলো, সেটিও সম্পাদক হলেন বঙ্গবন্ধু। এভাবেই ধীরে ধীরে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। গোপালগঞ্জে তখন তার নামেই মুসলিম লীগ চলত।

প্রথম বিদেশ সফর

১৯৫২ সাল। চীনের পিকিংয়ে অনুষ্ঠেয় এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক রিম পিস কনফারেন্সে যোগ দিতে গেলেন বঙ্গবন্ধু। এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর। আকাশপথে তিনি প্রথমে যান রেঙ্গুন। বার্মা (বর্তমানে মিয়ানমান) বা ব্রহ্মদেশ তখন স্বাধীন। সেই হিসাবে বার্মাই বঙ্গবন্ধুর প্রথম বিদেশ। 

রেঙ্গুনের একটি বিশ্রামাগারে থাকার ব্যবস্থা  হলো। ওখানে ঘুরে ঘুরে বেশ কয়েকটি প্যাগোডা দেখলেন। পরদিন ভোরে রওনা দিয়ে পৌঁছলেন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে। সেখানে সকালের নাস্তা সেরে, এক ঘণ্টা পর হংকংয়ের বিমানে চেপে নামেন কাইতেক বিমানবন্দরে।

সেখানে থাকাকালে ঘুরে দেখলেন হংকং। নদীর এক পারে হংকং, আরেক পারে কৌলুন। আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ওখানে জিনিসপত্র খুব সস্তা। তবে বিক্রেতাদের সঙ্গে দামাদামি করতে হয়।

এরপর হেঁটে সেতু অতিক্রম করে কমিউনিস্ট চীনের প্রথম স্টেশন সেনচুন যান তিনি। পার্ল নদীর তীরে বিশাল এক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা হয় তার। এখান থেকে প্লেনে পিকিং যাওয়ার পথে পেরোতে হয় দেড় হাজার মাইল এলাকা। ওঠেন পিকিং হোটেলে। 

সেবার পিকিংয়ে শান্তি সম্মেলনে অংশ নেওয়া ছাড়াও বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা দেখেন বঙ্গবন্ধু। সম্মেলনে তিনি বাংলা ভাষায় বক্তব্য দেন। সম্মেলনে আসা রুশ সাহিত্যিক আসিমভ এবং তুরস্ক ছেড়ে রাশিয়ায় থাকা কবি নাজিম হিকমতের সঙ্গে দেখা হয় তার। সম্মেলনের পর কয়েক দিন তিনি ঘুরে বেড়ান তিয়েনশিং, নানকিং, সাংহাই, হ্যাংচো প্রভৃতি শহরে।

১৯৫০-এর দশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

প্রথমবার সংসদে

১৯৫৪ সাল। পূর্ব পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জের প্রার্থী বঙ্গবন্ধু। পূর্ব বাংলাজুড়ে নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় নিজের নমিনেশন পেপার জমা দিতে এলাকায় আসার সুযোগ পাচ্ছিলেন না তিনি। এলেন শেষদিন। ততদিনে  মুসলিম লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী বিত্তশালী ওয়াহিদুজ্জামান প্রচুর অর্থ খরচ করে প্রচারণার কাজ এগিয়ে ফেলেছেন। 

অবশ্য বঙ্গবন্ধু এলায় আসতেই পরিস্থিতি পাল্টে গেল। সবাই তাকে ভীষণ ভালোবাসত। তার প্রচারণার সম্বল ছিল কয়েকটা সাইকেল আর মাইক্রোফোন। তবু তার আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা টের পেয়ে প্রতিপক্ষ কূটচাল শুরু করেন। ধর্মীয় নেতাদের বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে প্রচারণায় নামিয়ে দেন ওয়াহিদুজ্জামান।

বিখ্যাত আলেম মাওলানা শামসুল হক স্পিডবোটে করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ফতোয়া দিতে থাকলেন, বঙ্গবন্ধুকে ভোট দিলে ইসলাম থাকবে না, ধর্মনাশ হয়ে যাবে! শর্ষিনার পীর সাহেব, বরগুনার পীর সাহেবসহ অনেকেই ছিলেন এই দলে। সরকারি কর্মচারীরাও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কাজ শুরু করল। ঢাকা থেকে পুলিশ প্রধান গেলেন বঙ্গবন্ধুর বিজয় ঠেকাতে।

তাতে কোনো লাভ হলো না। ৩৪ বছর বয়সে, ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে নির্বাচন জিতলেন বঙ্গবন্ধু।

প্রথম মন্ত্রীত্ব

১৯৫৪ সাল। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের জয়। পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। তড়িগড়ি করে মন্ত্রীসভা করলেন তিনি। ঠাই হলো না আওয়ামী লীগের কারও।

বঙ্গবন্ধু তখন টাঙ্গাইলে, মওলানা ভাসানীর সঙ্গে একটি কর্মিসভায় যোগ দিয়েছেন। তিনি ভাষণ দেওয়া অবস্থায় টেলিগ্রাম পেলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে ঢাকায় যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আসার পর শেরেবাংলা তাকে বললেন, 'তোকে মন্ত্রী হতে হবে। আমি তোকে চাই, তুই রাগ করে না বলিস না। তোরা সকলে বসে ঠিক কর, কাকে কাকে নেওয়া যেতে পারে।'

উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'শহীদ সাহেব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তার অনুমতি দরকার। আর মওলানা সাহেব উপস্থিত নাই, তার সাথেও আলোচনা করতে হবে।'

অসুস্থ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ফোনে কথা বলতে না পারলেও জামাতার মাধ্যমে জানালেন, তার আপত্তি নেই। এদিকে সম্মতি দিলেন ভাসানীও। এরপর প্রথমবারের মতো পূর্ব পাকিস্তানের মন্ত্রিসভায় যুক্ত হলেন বঙ্গবন্ধু। সমবায় ও কৃষি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলো তাকে। তখন তার ৩৪ বছর বয়স। মন্ত্রিসভার তিনিই ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য।

Related Topics

টপ নিউজ

বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী / বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা
  • ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা, নিহত অন্তত ৩, আহত কয়েক ডজন; ইরানেও চলছে হামলা
  • বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প
  • ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার
  • আলীকদমে পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা ইসলাম গ্রেপ্তার
  • ইরান হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলকে শতাধিক হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র

Related News

  • বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি; আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্সরাও পেলেন স্বীকৃতি
  • ভিডিও: ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙা চলছে
  • ছবিতে সকালের ধানমন্ডি ৩২
  • বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়: কাদের সিদ্দিকী
  • বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের শিকার কাদের সিদ্দিকী

Most Read

1
বাংলাদেশ

‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা

2
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা, নিহত অন্তত ৩, আহত কয়েক ডজন; ইরানেও চলছে হামলা

3
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প

4
বাংলাদেশ

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার

5
বাংলাদেশ

আলীকদমে পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা ইসলাম গ্রেপ্তার

6
আন্তর্জাতিক

ইরান হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলকে শতাধিক হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net