Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
June 23, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, JUNE 23, 2025
বিদ্যুৎ বিল দাও! নয়তো গুলি খেয়ে মরো! ঘরে ঘরে হাজির হচ্ছে মিয়ানমারের সৈন্যরা

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
17 January, 2022, 05:55 pm
Last modified: 17 January, 2022, 06:07 pm

Related News

  • মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের মাসে বিদ্যুৎ বিল ৪৮ কোটি টাকা! 
  • বাংলাদেশে কথিত সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ভিত্তিহীন, চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা: সরকার
  • মিয়ানমারের জান্তা, জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে: চীন
  • আদানি পাওয়ারকে বকেয়া ৭৩২ মিলিয়ন ডলার পাঠানোর অনুমোদন পেল কৃষি ব্যাংক
  • মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে হুমকির মুখে চীনের যে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য করিডর

বিদ্যুৎ বিল দাও! নয়তো গুলি খেয়ে মরো! ঘরে ঘরে হাজির হচ্ছে মিয়ানমারের সৈন্যরা

সামরিক জান্তাকে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত রাখতে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া বন্ধ করেছে মিয়ানমারের জনসাধারণ। সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সেনাবাহিনী।
টিবিএস ডেস্ক
17 January, 2022, 05:55 pm
Last modified: 17 January, 2022, 06:07 pm
প্রতীকী ছবি/সংগৃহীত

সকালে মাত্র ঘুম থেকে উঠেছিলেন মিয়ানমারের স্কুল শিক্ষক দাও থিদা পিওনি, আর তখনই বাইরে চার সৈন্যের বুটের আওয়াজ। দরজায় ঠকঠক শুনে বাইরে বেরিয়ে এলেন দাও থিদা; তার বিদ্যুৎ বিল বাকি ছিল। সৈন্যরা তাকে বললো দ্রুত সরকারি বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিল পরিশোধ করে আসতে।

জবাবে দাও থিদা জানতে চাইলেন বিল না দিলে কি হবে? সাথে সাথে সৈন্যদের একজন তার দিকে বন্দুক তাক করে বললো, "তোমার কাছে যদি নিজের জীবনের চেয়ে টাকার মূল্য বেশি হয় তাহলে বিল দিও না!" একথা শুনে আতঙ্কিত হয়ে ঘরের পোশাকেই বিদ্যুৎ অফিসে ছুটে যান এই শিক্ষিকা এবং বিল পরিশোধ করেন।

গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি এক সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের সর্বময় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সামরিক শাসনের প্রতিবাদে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন মিয়ানমারের অসংখ্য মানুষ। সামরিক জান্তাকে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত রাখতে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ বিল দেওয়াও বন্ধ করেছেন তারা।

কিন্তু জনসাধারণের এসব উদ্যোগ সামরিক শাসনের পতন ঘটাতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সেনা অভ্যুত্থানের এগারো মাস পরে এসেও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী টাকা আদায়ের জন্য এতটাই মরিয়া যে তারা এখন কঠোর পাওনাদারের মতো আচরণ করছে।

ইয়াঙ্গুনে নজরদারির ক্যামেরাসহ একটি বিদ্যুতের খুঁটি। ছবি: নিউইয়র্ক টাইমস

মিয়ানমারবাসী জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইয়াঙ্গুন ও মান্ডালেসহ বিভিন্ন শহরে সৈন্যরা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে হাজির হচ্ছে বিল উঠাতে।

সেনাবাহিনীর এই মরিয়া আচরণের কারণও খুব সহজেই অনুমেয়। মিয়ানমারে প্রতিবাদ-ধর্মঘট ও অসহযোগ আন্দোলনকে রুখে দিতে ইতোমধ্যেই ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে সেনাবাহিনী। এবার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য হুমকিও যুক্ত হয়েছে এই তালিকায়। অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস সূত্রে জানা যায়, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশের হাতে নিহত হয়েছেন ১৪৬৬ জন বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া তদন্ত কেন্দ্রগুলোতে অমানুষিক নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০০ জনের। মানবাধিকার সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, আন্দোলন চলাকালীন অন্তত ৮৫ জন তরুণকে ঘটনাস্থলে গুলি করে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী।

সেনা অভ্যুত্থান এবং অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঘটনাচক্রে ধ্বসে পড়েছে মিয়ানমারের অর্থনীতি। চাকরি ছেড়েছেন শিক্ষক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ অসংখ্য পেশার লোক।

২০২১ সালে মিয়ানমারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উর্ধ্বগতি থাকবে বলে ধারণা করা হলেও, সেনা অভ্যুত্থান এবং মহামারির কারণে তা উল্টো ১৮ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের মধ্যে মিয়ানমারের শহরাঞ্চলে দারিদ্রতার হার তিন গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করছে ইউএনডিপি। গেল বছরের ডিসেম্বরে দেশটির ১২০০ পরিবারের উপর জরিপ করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠনটি। প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল ব্যুরোর পরিচালক কান্নি উইংনাজারা বলেন,

"এই হারে যদি দারিদ্রতা বাড়তে থাকে তাহলে মিয়ানমার থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে; যা অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা কোনো দেশের জন্য অশুভ সংকেত।

সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে গত এপ্রিলে হ্যাশট্যাগ ফ্ল্যাশ স্ট্রাইক হিসেবে নিজেদের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালায় মিয়ানমারের জনসাধারণ। ছবি: নিউইয়র্ক টাইমস

এদিকে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের মুদ্রা 'কিয়াত' এর মান কমে গেছে অর্ধেকেরও বেশি। ফলে দেশজুড়ে জ্বালানি ও রান্নার তেলের দাম বেড়েছে।

দেশজুড়ে চলমান সংকটের কারণে ব্যাংকের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না মিয়ানমারের নাগরিকরা। ফলে টাকার সংকটও দেখা দিয়েছে। ব্যাংকগুলোতে থাকছে না কোনো স্টক, ভোক্তারা টাকা তুলতে চাইলে আগে অনলাইনে টোকেন বা ফোনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হচ্ছে। কিন্তু দুটি প্রক্রিয়াই সেখানে প্রায় অসম্ভব। তাই মিয়ানমারের বেশিরভাগ মানুষই এখন দালালের কাছে নিজের একাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার করে তারপর সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ কমিশন দিয়ে টাকা উঠাচ্ছেন।

২০১০ সালে মিয়ানমারে সামরিক শাসনের অবসানের পর দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সাম্প্রতিক সেনা অভ্যুত্থান সেই উন্নয়নের গতিকে একেবারেই ধীর করে দিয়েছে।

মিয়ানমারভিত্তিক অর্থনীতিবিদ ইউ হেইন মং বলেন, "গত ১০ মাসের ঘটনাবলি মিয়ানমারের গত ১০ বছরের অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। একই সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচও অনেক বেড়ে গিয়েছে। মাদক পাচার, অবৈধ কাঠের ব্যবসা এবং অর্থ পাচারসহ নানা বেআইনি ব্যবসার প্রসার ঘটেছে।"

তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিল আদায়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় সামরিক সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আগের সরকারের চাইতে এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে।

গত বছরের মার্চে ইয়াঙ্গুনে টাকা তুলে নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন। ছবি: নিউইয়র্ক টাইমস

তাছাড়া, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং স্কুলের মতো জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোও চলছে না বললেই চলে। ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মতো দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পগুলোতে সামরিক সরকারকে পুরোপুরি সরকারি তহবিলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

কিন্তু তবুও, মিয়ানমারের যা পরিস্থিতি তাতে সকল মন্দার সাথে মানিয়ে নিয়ে সেনাবাহিনীই বরং জনগণের চাইতে ভালো অবস্থানে আছে।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ মং বলেন, "সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবসা এবং ব্যাংক আছে। সবকিছু ভেঙ্গে পড়লেও তারা টিকে থাকতে পারবে। আর তাদের বন্দুক-গুলি তো আছেই।"

অনলাইনে ভিন্টেজ জামাকাপড় বিক্রি করেন ২৪ বছর বয়সী কো সি থু অং।আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল তার। কিন্তু ক্রিসমাসের দিন সৈন্যরা এসে তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়। দুদিন বিদ্যুতবিহীন থাকার পর বিল পরিশোধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না তার।

বিল পরিশোধের জন্য অপেক্ষারত আরও ৩০০ জনের লাইনে দাঁড়িয়ে অং বলেন, "বিদ্যুৎ না থাকলে আমি কাজ করতে পারবো না। কিন্তু আমাদের এই টাকাই গুলি-বন্দুক কিনতে ব্যবহৃত হবে এবং তা দিয়ে আমাদেরই মারা হবে ভেবে কষ্ট লাগছে।"

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস       

Related Topics

টপ নিউজ

মিয়ানমার সংকট / সেনা অভ্যুত্থান / বিদ্যুৎ বিল

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন বিশেষ ভাতা ১,৫০০ টাকা ও পেনশনের জন্য ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করল সরকার
  • মার্কিন হামলায় ‘একরকম নিশ্চিত’ হয়ে গেল এক দশকের মধ্যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হবে: বিশ্লেষক
  • হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দিল ইরান
  • গঙ্গা চুক্তি পুনঃআলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণে বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে ভারত
  • ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা: ইউরেনিয়াম স্থানান্তরের বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় ইসরায়েল
  • বাজেটে সম্পত্তি হস্তান্তরে কর হার কমাল সরকার

Related News

  • মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের মাসে বিদ্যুৎ বিল ৪৮ কোটি টাকা! 
  • বাংলাদেশে কথিত সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ভিত্তিহীন, চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা: সরকার
  • মিয়ানমারের জান্তা, জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে: চীন
  • আদানি পাওয়ারকে বকেয়া ৭৩২ মিলিয়ন ডলার পাঠানোর অনুমোদন পেল কৃষি ব্যাংক
  • মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে হুমকির মুখে চীনের যে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য করিডর

Most Read

1
অর্থনীতি

কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন বিশেষ ভাতা ১,৫০০ টাকা ও পেনশনের জন্য ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করল সরকার

2
আন্তর্জাতিক

মার্কিন হামলায় ‘একরকম নিশ্চিত’ হয়ে গেল এক দশকের মধ্যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হবে: বিশ্লেষক

3
আন্তর্জাতিক

হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দিল ইরান

4
বাংলাদেশ

গঙ্গা চুক্তি পুনঃআলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণে বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে ভারত

5
আন্তর্জাতিক

ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা: ইউরেনিয়াম স্থানান্তরের বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় ইসরায়েল

6
অর্থনীতি

বাজেটে সম্পত্তি হস্তান্তরে কর হার কমাল সরকার

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net