বাংলাদেশে কথিত সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ভিত্তিহীন, চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা: সরকার

সম্প্রতি দ্য ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা শুধু ভিত্তিহীনই নয়, গভীরভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীনও বলে মন্তব্য করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জারি করা একটি প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'এ ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রচার জাতীয় অবহেলা এবং বিদেশি বিষয়েও হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে যে মৌলিক নীতি রয়েছে, তা ক্ষুণ্ণ করে। পাশাপাশি এটি সংশ্লিষ্ট মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকেও ক্ষুণ্ণ করে।'
সম্প্রতি দ্য ইকোনমিক টাইমসসহ ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশে সম্ভাব্য সেনা অভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের ভিত্তিহীন দাবি করে বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক দেশ, যার শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে সেনাবাহিনীও অন্তর্ভুক্ত। সেনাবাহিনী ধারাবাহিকভাবে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সংবিধান, শৃঙ্খলা ও জনগণের প্রতি অবিচল আনুগত্য প্রকাশ করে চলেছে।
প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'এই ধরনের ভিত্তিহীন চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনগুলো আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।'
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, 'এ ধরনের বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে এসব গণমাধ্যম শুধু সাংবাদিকতার সততাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে না, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ছড়ানোর ঝুঁকিও তৈরি করছে।'
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর নৈতিক সাংবাদিকতা মেনে চলা, সত্যতা যাচাই করা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষতি করে এমন বানোয়াট তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকা জরুরি।
সরকার ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোকে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রত্যাহার করতে, ব্যাখ্যা প্রকাশ করতে এবং দায়িত্বশীল প্রতিবেদন প্রকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গণমাধ্যমগুলোর এ ধরনের মিথ্যা প্রচারের একমাত্র উদ্দেশ্য হয় বিভেদ সৃষ্টি করা হয়, তবে উভয় দেশকেই এগুলোর বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে হবে। বাকস্বাধীনতার অজুহাতে এ ধরনের অপপ্রচার উপেক্ষা করা ভুল তথ্য মেনে নেওয়ার শামিল।