শীতের সংকটে কুড়িগ্রাম

টানা ৫ দিনের শৈত্য প্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জন-জীবন। দিনের বেলাতেও সূর্যের দেখা না মেলায় তাপমাত্রা নিম্নগামীই থেকে যাচ্ছে উত্তরের এই জেলায়।
কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা।
গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে শিশু ও বৃদ্ধসহ ছিন্নমূল মানুষজনের। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাস কষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে।
হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শাহিনুর রহমান সরদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালটিতে ২১৬ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে শ্বাস কষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছে ১৪ জন শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন।

ঠান্ডায় দুর্ভোগ বেড়েছে চরাঞ্চলের মানুষের। এ অবস্থায় খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। অনেকেই ছুটছেন পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
জেলার হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষেরা তীব্র শীতকষ্টে ভুগলেও সরকারি বা বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
তবে জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় ৫১ হাজার ৫১৪টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।