তারেক রহমানের প্ল্যানে ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিকাশের আশা চরমোনাই পীরের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি স্বাগত জানিয়ে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন।
বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, 'জনাব তারেক রহমান তার বক্তব্যে নিজস্ব প্ল্যান থাকার কথা বলেছেন। সেই প্ল্যানে ইতিবাচক সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিকাশ এবং ফ্যাসিবাদের চিরস্থায়ী বিলোপের বন্দোবস্ত থাকবে বলে আমরা আশা করি।'
তিনি আরও বলেন, 'তার আগমন দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে আমরা আশা করি। কারণ দেশের রাজনীতিতে এক ধরণের অস্থিরতা বিরাজ করছিল। বিশেষ করে বিএনপির মতো বৃহৎ একটি দল সরাসরি নেতৃত্ব বঞ্চিত ছিল। জনাব তারেক রহমানের আগমনে সেই শুন্যতা পূরণ হবে বলে আশা করা যায়।'
তারেক রহমানের দীর্ঘ প্রবাস জীবনের কথা স্মরণ করে বিবৃতিতে বলা হয়, '১৭ বছর পর তার আগমনের পেছনে একটি নির্মম সত্য লুকিয়ে আছে, আর তা হলো সহিংস ও প্রতিহিংসার রাজনীতি।' পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, 'পতিত ফ্যাসিস্টের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাকে নির্বাসনে থাকতে হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে প্রতিহিংসা চিরতরে উৎখাত হোক সেই প্রচেষ্টা জনাব তারেক রহমানসহ আমাদের সকলের চালিয়ে যেতে হবে। আশা করি তিনি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সুস্থ্যতায় অবদান রাখবেন।'
তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বিলম্ব হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির। তিনি বলেন, 'জুলাই অভ্যুত্থানের পরেও দীর্ঘদিন তিনি দেশের বাইরে থাকার পেছনে কিছু অস্পষ্ট কারণের আভাস দিয়েছেন। বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক নেতার দেশে আগমন অন্য কারো নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এমন কোনো পরিস্থিতি আদতেও থেকে থাকলে সকলে মিলে তা প্রতিহত করতে হবে। সেই বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে পরিস্কার করা দরকার বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।'
