জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ১১ ডিসেম্বর; ভোট হতে পারে ৮, ১১ বা ১২ ফেব্রুয়ারি
আগামী ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর) কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে যাবে এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ১১ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। প্রথা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তফসিল চূড়ান্ত করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, 'আরপিওর সবশেষ সংশোধনীও অনুমোদন হয়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তফসিল ঘোষণা করা হবে।'
এদিকে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার টিবিএসকে জানান, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।
ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ৮, ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারিকে বিবেচনায় রেখে এগোচ্ছে কমিশন।
ইসি এর আগে জানিয়েছিল, ভোটের অন্তত ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, '৬০ দিন বাধ্যতামূলক নয়। ৫৮ কিংবা ৬২ দিনও হতে পারে। মোটামুটি ৬০ দিনের কাছাকাছি হিসাব ধরা হয়েছে।'
ভোটের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানোর চিন্তা
একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোট প্রদানে সময় বেশি প্রয়োজন হতে পারে। এ কারণে ভোটগ্রহণের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানোর চিন্তা করছে কমিশন। সাধারণত সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। তবে এবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, 'এ বিষয় কমিশন সভায় চূড়ান্ত হবে। আগামী রোববার কমিশন সভা হবে।' ওই সভাতেই তফসিলের তারিখের বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
