চট্টগ্রাম বন্দর চুক্তির বিরুদ্ধে বাম জোটের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, বেশ কয়েকজন আহত
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখী বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এসময় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি অপারেটরদের দেওয়ার প্রতিবাদ, বিদেশি কোম্পানির কাছে চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণ ও পানগাঁও নৌ টার্মিনাল লিজের সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম ফোরাম, বাংলাদেশ জাসদ এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের যৌথ উদ্যোগে সমাবেশ আয়োজিত হয়।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির ওপর সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্য বিস্তারের নগ্ন থাবা চলছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
তারা বলেন, এর বদলে তারা এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে চট্টগ্রামের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল আমেরিকার নৌবাহিনীর ঘনিষ্ঠ কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেওয়ার চূড়ান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে অস্বাভাবিক দ্রুততায় মাত্র ১৩ দিনের কার্যক্রমের মাধ্যমে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পানগাঁও নৌ টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের কাছে লিজ দেওয়ার চুক্তি সম্পন্ন করেছে।
তারা বলেন, ওই কোম্পানিকে টানা ১০ বছরের কর অব্যাহতিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে শোনা যায়। এই গোপন চুক্তি নাকি জনগণকে জানানো হবে না, এটাও ঔদ্ধত্বপূর্ণভাবে জানানো হয়েছে।
সমাবেশ শেষে বেলা ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওনা হয়।
তারা পুরান পল্টন মোড়, বিজয় নগর পানির ট্যাকিং, নাইটেঙ্গেল মোড় হয়ে কাকরাইল যান। এসময় কাকরাইল মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
পুলিশের লাঠিচার্জের পর আন্দোলনকারীরা কাকরাইল মোড়ে বসে পড়েন। এ সময় ওই মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা সেখান থেকে চলে যান।
