ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে কামাল হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সংহতি প্রকাশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে বুধবার সকাল থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় জড়ো হওয়া বিভিন্ন বামপন্থী দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন নাগরিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রসিদ্ধ ব্যক্তিরা প্রেসক্লাবে নাগরিক সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে যাত্রা করেছেন।
নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত না থাকলেও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। বিবৃতির কিছু অংশ তুলে ধরা হল,
"ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সরকারের অত্যাচার ও নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। এই কালো আইনটি অপব্যবহারের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে লেখক মুশতাক আহমেদের কারা হেফাজতে মৃত্যু,"

মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্তের সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবিও তোলেন ড. কামাল কামাল হোসেন।
"একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর সার্বিক অবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত অপরিহার্য। এ ঘটনা নাগরিকদের বিবেককে আহত করেছে, ফলে আজ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে যাতে করে মুতাকের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করা হয় ও তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়।"
অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে না পারায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীও লিখিত বিবৃতি পাঠিয়েছেন। বিবৃতির কিছু অংশ তুলে ধরা হল,
"মুশতাক আহমেদ একজন লেখক, তিনি একজন উদ্যোক্তাও। তিনি কারও কোনো ক্ষতি করেননি। ফৌজদারি বা দেওয়ানি কোনো অপরাধের অপরাধী নন,"

"বলা হচ্ছে মুশতাক আহমেদ রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর লেখা লিখেছিলেন। রাষ্ট্র কী এতোই দুর্বল একজন লেখকের সামান্য কিছু লেখার জন্য বিব্রত বোধ করবে? সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য তো নাগরিকদের চিন্তার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নিরাপত্তা দেওয়া। রাষ্ট্রের দায়িত্ব তো সেটাই।"