শিক্ষক নিয়োগে কোটা বৈষম্যের অভিযোগ, রাঙামাটিতে ৩৬ ঘণ্টা হরতালের ডাক
রাঙামাটি জেলা পরিষদে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা বৈষ্যমের অভিযোগ এনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে রাঙামাটি শহরের বনরূপার একটি রেস্তোরাঁয় কোটাবিরোধী ঐক্যজোট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে হরতাল ঘোষণা করেন সংগঠন তিনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী ইব্রাহিম রুবেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতা রাকিব হাসান, শিক্ষার্থী নুরুল আলম, রুবেল হোসেন, রেজাউল করিম রাজু, ইমাম হোছাইন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জেলা পরিষদে কোটা বৈষম্য বাদ দিয়ে সঠিকভাবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানানোর পরেও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সমাধান দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা হরতাল কর্মসূচি দিয়েছি।
তারা বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোনো কোটার উল্লেখ নেই এবং শূন্য পদের সংখ্যাও পরিষ্কারভাবে জানানো হয়নি। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৭ শতাংশ কোটা বিধান উপেক্ষা করে পরিষদ কর্তৃপক্ষ ৭০ শতাংশ উপজাতি ও ৩০ শতাংশ বাঙালি কোটা অনুসারে নিয়োগ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যা দুঃখজনক।
তারা আরও বলেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। কোটা প্রথার নামে বৈষম্য আর মেধা হত্যার সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না।
আগামী ২০ ও ২১ নভেম্বর হরতাল চলাকালীন জেলা শহরের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, 'হরতাল দেওয়া হয়েছে শুনেছি। তারা তাদের কাজ করবেন, আমরা আমাদের মতো কাজ চালিয়ে যাব।'
১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের ২৮টি বিভাগ জেলা পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগও রয়েছে।
২১ নভেম্বর শুক্রবার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রায় ৭ হাজার চাকরিপ্রত্যাশীর এতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
