Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
June 07, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, JUNE 07, 2025
শিক্ষক স্বল্পতার কারণে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষা ব্যবস্থার পুনরুদ্ধার

বাংলাদেশ

মীর মোহাম্মদ জসিম ও মহসিন ভূঁইয়া 
24 February, 2021, 04:25 pm
Last modified: 24 February, 2021, 06:01 pm

Related News

  • শিক্ষক সংকট: ২ দফা দাবিতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ‘শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
  • নামকাওয়াস্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা কতটা যৌক্তিক হয়েছে এবং হবে?
  • নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
  • নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
  • রাত-বিরাতে ফোনকল, হয়রানি: অভিভাবকদের কাছে যেন ‘জিম্মি’ দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষকেরা

শিক্ষক স্বল্পতার কারণে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষা ব্যবস্থার পুনরুদ্ধার

বাংলাদেশ এখন উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে আছে। অথচ, এখানকার শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত নিম্ন আয়ের দেশগুলোর গড় মানের চাইতেও কম
মীর মোহাম্মদ জসিম ও মহসিন ভূঁইয়া 
24 February, 2021, 04:25 pm
Last modified: 24 February, 2021, 06:01 pm

নেত্রকোণার কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭০৯ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে আছেন মাত্র আট জন শিক্ষক। অর্থাৎ, প্রতি ৮৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষক-ছাত্রের আদর্শ অনুপাত (টিএসআর) ১:২০ হলেও, এখানকার অনুপাত তার ধারেকাছেও নেই।

মহামারির জন্য স্কুল বন্ধ হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় এগারোটি মাস। শিক্ষার্থীরা যে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন- তা পূরণ করা এখন বিশাল এক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। নতুন কারিকুলামের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করাও এখন স্কুলগুলোর জন্য পর্বতসম দায়ভার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকন উদ্দীন খান- বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছে স্কুল খোলার আগেই নতুন শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অন্যথায়, স্কুল কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

"আমরা মারাত্মক চাপের সম্মুখীন হব। এছাড়া নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। এমনকি, আমাদের পক্ষে বাড়তি ক্লাস নেওয়াও সম্ভব হবে না," বলেন তিনি।

যশোরের চৌগাছা হাজী মর্তুজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, মহামারির আগে থেকেই তার স্কুল অস্বাভাবিক চাপের মধ্যে ছিল। ২১ জন শিক্ষক নিয়ে ৮৫০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানের ক্ষতিপূরণ প্রায় অসম্ভব।

প্রাতিষ্ঠানিক তথ্যানুসারে, দেশের স্কুলগুলো শিক্ষক স্বল্পতা নিয়েই কার্যক্রম চালায়। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকের ২ কোটি ৭৮ লাখ শিক্ষার্থীর বিপরীতে আছেন মাত্র ৯ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্যানুসারে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্রের অনুপাত যথাক্রমে ১:৩৭ এবং  ১:৪৫। বেসরকারি স্কুলের তুলনায় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই অনুপাত আরও খারাপ।

বাংলাদেশ এখন উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে আছে। অথচ, এখানকার শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত নিম্ন আয়ের দেশগুলোর গড় মানের চাইতেও কম। মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রাথমিকে এই অনুপাত ১:২৪, যেখানে মাধ্যমিকে এই অনুপাত ১:১৮।

দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের চাইতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও, শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাতে বাংলাদেশের অবস্থান পিছিয়ে আছে।

টিএসআরের এই নিম্ন মান বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে ক্ষতিপূরণের পথকে আরও কঠিন করে তুলবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, শিক্ষক নিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাধানের ইঙ্গিতও দিচ্ছেন তারা।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা ওইসিডির একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা পাঠদানের ক্ষতির কারণে ভবিষ্যতে আয় সংকটের সৃষ্টি হবে বলে হুঁশিয়ারও করেন। ওইসিডির প্রতিবেদনটি বলছে, স্কুল বন্ধ থাকায় প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের যে অপূরণীয় ক্ষতি হল, তার কারণে কর্মজীবনে এই শিক্ষার্থীদের উপার্জন প্রায় ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। ফলস্বরূপ, আগামী দিনে শতাব্দীজুড়ে বার্ষিক জিডিপির হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমবে।

তবে, ফাঁকা ক্লাসরুমগুলোর জন্য কেবল শিক্ষাব্যবস্থাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শিক্ষা-সংক্রান্ত ব্যবসাগুলোতেও নেমে এসেছে ধস। বলপয়েন্ট, কাগজের মতো টুকিটাকি সামগ্রী থেকে শুরু করে টিফিনের ভাজাপোড়া-পানীয়, এমনকি পরিবহন খাতেও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দেশের অন্যান্য খাত প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলেও, শিক্ষা-সম্পর্কিত এসব ব্যবসার পুনরুদ্ধার বেশ ধীরগতিতেই চলছে।

গত ৯ জানুয়ারি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসাগুলো করোনাকালে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার লোকসান গুণেছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ডক্টর জাহিদ হোসেন বলেন, "আমাদের ভবিষ্যৎ বিকাশ এখন মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এমনিতেই দুর্বল। তার উপর, মৌলিক শিক্ষা সম্পূর্ণ বন্ধ। অধিকাংশ ছাত্রের কাছে ডিজিটাল ডিভাইস নেই। তারা সম্পূর্ণভাবে শিক্ষা বিবর্জিত অবস্থায় আছে।"

"করোনা মহামারির কারণে মানব উন্নয়ন সূচকে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে। কোভিড-১৯ এর কারণে মানব-সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যম এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব থাকবে। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পাঠগ্রহণের দারিদ্রতাও বাড়ছে। প্রকৃত অবস্থা তখনই বোঝা যাবে, যখন এই মৌলিক শিক্ষা-ঘাটতি যুক্ত মানবসম্পদ কর্মক্ষেত্রে যোগ দিবে," বলেন তিনি।

জাহিদ হোসেন আরও বলেন, "আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটেছে। এখন দ্রুত সকল কার্যক্রম শুরু করার কথা ভাবা উচিত। সেজন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়ন করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে, যথাযথ কৌশল অবলম্বনের প্রয়োজন হবে।

"শিক্ষার্থীদের সেশন জট এড়াতে অটো-প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। সিলেবাসও সংক্ষিপ্ত করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এর ফলে শিক্ষার চূড়ান্ত বিপর্যয় ঘটে গেছে।"

ওইসিডি গবেষনা বলছে, স্কুলগুলো যদি দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে ব্যর্থ হয়, তবে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের উপর সবথেকে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কিত কোনো গবেষণা পরিচালিত হয়নি। এমনকি, ব্যানবেইসের কাছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।

সঠিক ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাপ জানার জন্য এধরনের গবেষনার গুরুত্ব অপরিসীম।

গত বছরের মে মাসে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পাঠদানের ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু, পরবর্তীতে কোনো উদ্যোগ গৃহীত হয়নি।

তিনি বলেন, ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার উন্নত দেশগুলো গবেষণার ভিত্তিতে শিক্ষা কার্যক্রমের ঘাটতি পূরণে পরিকল্পনা নির্মাণ করেছে।

"এমনকি ভারতও বসে না থেকে, মানুষের দরজার গিয়ে জরিপের মাধ্যমে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে," বলেন প্রফেসর মনজুর আহমেদ।

বাংলাদেশ স্কুল খোলার সিদ্ধান্তের বিষয়েও পিছিয়ে আছে। ইউনেস্কোর তথ্যানুসারে বিশ্বের ২৮ টি দেশের সাথে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।

গত বছর ১৬ মার্চ থেকে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ আছে। এইচএসসি সহ কোনো পাবলিক পরীক্ষাই নেওয়া হয়নি। উপরন্তু, শিক্ষার্থীরা পরবর্তী শ্রেণিতে অটো-প্রমোশন পেয়েছে।

স্কুল খুলতে দেরি হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে, সেইসাথে কমতে থাকবে শিক্ষার মান। আঞ্চলিক গড় হিসেবে মহামারির আগেও দেশের শিক্ষার মান দুর্বল ছিল। বিশেষ করে, প্রাথমিক পর্যায়ে গণিত এবং ইংরেজিতে দুর্বলতা চোখে পড়ার মতো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণে স্কুলগুলোতে এখন দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন। অটো প্রমোশনের মাধ্যমে নতুন শ্রেণীতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে তুলতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।

শিক্ষকদের পেছনে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো কীভাবে উপকৃত হয়েছে- সেই উদাহরণও দেন শিক্ষাবিদরা। মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের পিছনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এই বিনিয়োগ জরুরি বলে দাবি করেন তারা।

প্রতিবেশী দেশগুলোর পর্যায়ে যেতে শিক্ষক-ছাত্র অনুপাতের গড় মান অর্জনের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেজন্য প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে তারা পাঁচ লাখ নতুন শিক্ষক নিয়োগের পরামর্শও দিয়েছেন।

বর্তমানে দেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষক আছেন। এই অবস্থায়, দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের বিকল্প কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদরা। এছাড়া মহামারির কারণে সৃষ্ট নতুন চ্যালেঞ্জগুলোকে সামাল দিতে শিক্ষকদের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণের প্রস্তাবও রাখেন তারা।

এসব ব্যবস্থা গ্রহণে শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। অথচ, আগের বছরের তুলনায় ২০২১ অর্থবছরে জিডিপিতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ ২.১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.০৯ শতাংশ করা হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং ইউনেস্কোর মিলিত উদ্যোগে প্রকাশিত "এডুকেশন ফিন্যান্স ওয়াচ (ইএফডব্লিউ) ২০২১" প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষাখাতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রয়োজন হলেও, নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলো মহামারির পর জনশিক্ষা খাতে বাজেটের পরিমাণ হ্রাস করেছে।

২০১৮-১৯ সালে, উচ্চ আয়ের দেশগুলো জনপ্রতি শিশু-কিশোরদের পিছে বার্ষিক প্রায় ৮ হাজার ৫০১ ডলার ব্যয় করলেও, নিম্ন-মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোর ব্যয়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২৭৬ ডলার এবং ৪৮ ডলার।

কোভিড-১৯ ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে জনপ্রতি শিক্ষাখাতে ব্যয়ের বৈষম্য বৃদ্ধি করছে।

ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, সরকারের উচিত মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতকরণে এবং শিক্ষার্থীদের পাঠের ক্ষয়ক্ষতি পূরণে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করা।

"অন্যথায়, বৈষম্য বৃদ্ধি পাবে," বলেন তিনি। এছাড়াও তিনি জাতীয় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন স্থাপনের পরামর্শ দেন।

ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে একাডেমিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া, তিনি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাকে শিক্ষা ব্যবস্থায় সম্পৃক্ত করার পরামর্শও দেন।

তিনি বলেন, পাঠদানের ক্ষতিপূরণে সরকারের উচিত প্রতি উপজেলায় অন্তত দশ কোটি টাকা বরাদ্দ করা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক বলেন, সামনের দিনগুলোতে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতে এবং পাঠদানের ক্ষতিপূরণে তারা নতুন শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা করছেন।

মান নিয়ে সংশয় থাকলেও, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক কর্তৃপক্ষ সংক্ষিপ্ত পথ অবলম্বন করছে।

শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে এ বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হবে বলে জানান জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

Related Topics

টপ নিউজ

শিক্ষা ব্যবস্থা / মহামারির প্রভাব / শিক্ষক সঙ্কট

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • মাস্ক ‘বদ্ধ উন্মাদ' হয়ে গেছেন: ট্রাম্প; 'আমাকে ছাড়া ট্রাম্প জিততে পারতেন না': মাস্ক
  • চীনের কাছ থেকে এবার স্টেলথ ফাইটার পাচ্ছে পাকিস্তান
  • পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্যার ফলে যেভাবে সৃষ্টি হয়েছিল ভূমধ্যসাগর
  • নির্বাচন আয়োজনের জন্য আগামী ঈদুল ফিতরের পর এক মাস সময় যথেষ্ট: বদিউল আলম মজুমদার
  • অনিরাময়যোগ্য রোগী যারা, কেমন কাটবে তাদের ঈদ
  • কোভিড-১৯: আবারও জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার পরামর্শ

Related News

  • শিক্ষক সংকট: ২ দফা দাবিতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ‘শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
  • নামকাওয়াস্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা কতটা যৌক্তিক হয়েছে এবং হবে?
  • নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
  • নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
  • রাত-বিরাতে ফোনকল, হয়রানি: অভিভাবকদের কাছে যেন ‘জিম্মি’ দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষকেরা

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

মাস্ক ‘বদ্ধ উন্মাদ' হয়ে গেছেন: ট্রাম্প; 'আমাকে ছাড়া ট্রাম্প জিততে পারতেন না': মাস্ক

2
আন্তর্জাতিক

চীনের কাছ থেকে এবার স্টেলথ ফাইটার পাচ্ছে পাকিস্তান

3
আন্তর্জাতিক

পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্যার ফলে যেভাবে সৃষ্টি হয়েছিল ভূমধ্যসাগর

4
বাংলাদেশ

নির্বাচন আয়োজনের জন্য আগামী ঈদুল ফিতরের পর এক মাস সময় যথেষ্ট: বদিউল আলম মজুমদার

5
ফিচার

অনিরাময়যোগ্য রোগী যারা, কেমন কাটবে তাদের ঈদ

6
বাংলাদেশ

কোভিড-১৯: আবারও জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার পরামর্শ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net