প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, বাদীর জেরা ১০ নভেম্বর
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা আফনান জান্নাত কেয়ার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে আসামি খুরশীদ আলমের পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলার বাদীকে জেরা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১০ নভেম্বর পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষে তার জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এই মামলায় বাদীকে জেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আসামি সজীব ওয়াজেদ জয়ের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার আংশিক জেরা হয়েছে। তবে আরেক আসামি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
এর আগে, গত ৩১ জুলাই শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা পরিবারের পৃথক ৬টি মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ও সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
এছাড়া, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।
তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
