সম্পূর্ণ নারী-নেতৃত্বাধীন ক্ষমতা হস্তান্তর দল গঠন করলেন জোহরান মামদানি
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার তার ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার জন্য যৌথ চেয়ার হিসেবে সম্পূর্ণ নারী নেতৃত্বাধীন দলের নাম ঘোষণা করেছেন। এ দলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) সাবেক চেয়ার লিনা খানও রয়েছেন।
যৌথ চেয়ারের এই দলে লিনা খান ছাড়াও রয়েছেন সাবেক ফার্স্ট ডেপুটি মেয়র মারিয়া তোরেস-স্প্রিংগার, ইউনাইটেড ওয়ে অভ নিউইয়র্ক সিটির প্রধান গ্রেস বনিলা, স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিষয়ক সাবেক ডেপুটি মেয়র মেলানি হার্জগ ও রাজনৈতিক পরামর্শক ইলানা লিওপল্ড।
লিনা খান ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এফটিসি পরিচালনায় তিনি কঠোর অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রক ছিলেন। তার এই নিয়োগ ইঙ্গিত দেয়, মামদানি ১ জানুয়ারি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর 'অলিগার্কির' বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান অব্যাহত রাখবেন। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর নীতি বাস্তবায়নে ধনীদের ওপর কর বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মামদানি তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে আরও নেতার নাম ঘোষণার আভাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'এদের মধ্যে কিছু নাম পরিচিত হবে, আবার কিছু অপরিচিতও হতে পারে।'
'আমরা বিস্তৃত পরিসর থেকে সদস্য নির্বাচন করব,' মামদানি বলেন। 'আমরা কথা বলব মাঠপর্যায়ের সেই সংগঠকদের সঙ্গে, যারা শহরের সরকার ব্যবস্থার উন্নয়নে লড়াই করছেন। এছাড়াও থাকবেন পরীক্ষিত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি, দেশ-বিদেশের নীতি বিশেষজ্ঞ ও শ্রমজীবী মানুষ—যারা তাদের এলাকার প্রয়োজন সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানেন।'
১ জানুয়ারির প্রস্তুতি হিসেবে এই অন্তর্বর্তীকালীন প্রক্রিয়ার ব্যয় মেটাতে মামদানি তার সমর্থকদের আবার অনুদান শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'কয়েক মাস আগে আমি শহরজুড়ে সমর্থকদের অনুদান বন্ধ করতে বলেছিলাম, আজ তাদের আবারও তা শুরু করার অনুরোধ করছি।' তিনি ব্যাখ্যা করেন, তার এই ট্রানজিশন টিমের জন্য কর্মী, গবেষণা ও অবকাঠামোর প্রয়োজন হবে—যার সবকিছুর জন্যই অর্থের প্রয়োজন।
নির্বাচনে জয়ের পর হোয়াইট হাউস থেকে এখনও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানান মামদানি। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প তাকে 'কমিউনিস্ট' বলে উপহাস করার পাশাপাশি নিউইয়র্কে ফেডারেল তহবিল বন্ধের হুমকি দিয়েছেন।
মামদানি বলেন, 'নিউইয়র্কবাসীর সেবা করার জন্য আমরা কীভাবে একসাথে কাজ করতে পারি, সে বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে কথা বলতে আমি আগ্রহী। …আমি এই আলোচনার অপেক্ষায় আছি এবং স্পষ্ট করতে চাই যে, শহরের মানুষের উপকার হতে পারে এমন যেকোনো বিষয়ে আমি যে কারও সাথে কথা বলতে প্রস্তুত।'
