সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে সরকার সাপ-লুডুর খেলায় মেতেছে: আখতার হোসেন
সংস্কার এবং নির্বাচন প্রশ্নে সরকার এখন সাপ-লুডুর খেলায় মেতেছে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আখতার হোসেন বলেন, 'ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ হাতে থাকা সত্ত্বেও সরকার বারবার আলোচনার অজুহাত তুলে সংস্কার প্রক্রিয়াটিকে অনিশ্চিত করছে।'
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, 'এতে নির্বাচন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।'
তিনি বলেন, 'গণভোট ও সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যখন প্রাথমিক ঐকমত্য হয়েছে, তখন সরকারের এ গড়িমসি রাজনৈতিক সংশয় বাড়াচ্ছে।'
এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, 'ঐকমত্য কমিশনের প্রথম প্রস্তাব অনুযায়ী অবিলম্বে সংবিধান সংস্কারের কার্যাদেশ জারি করতে হবে এবং সামনের সংসদকে কাঠামোগত ক্ষমতা দিয়ে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় জনগণের রায় বাস্তবায়নের যে অঙ্গীকার ছিল তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।'
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'সংস্কার পিছিয়ে দেওয়া হলে জনগণ তা মেনে নেবে না এবং নির্বাচনকে অনিশ্চয়তায় ঠেলে দেওয়ার যেকোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করা হবে।'
এসময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, 'সরকারকে আমরা অনুরোধ করছি- দ্রুত একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন যে কবে আদেশ জারি করা হবে এবং সেই আদেশ অবশ্যই ড. ইউনূস জারি করবেন। যদি পবিত্র সনদে চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি) সাইন বসানোর পায়তারা করা হয় তাহলে ছাত্রজনতা মেনে নেবে না। এমন কিছু হলে ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে।'
তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'যদি কোনো বড় দল কোনো ছোট দলের কাছে প্রতীক বিক্রি করে, আপনারা তাদেরকে ভোট দেবেন না। কারণ বাংলাদেশে এ আসন বিক্রি করে বড় দলগুলো ছোট দলকে একীভূত করে নিয়ে নিজেদের রাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়।'
তিনি আরও বলেন, 'আসনের লোভ দেখিয়ে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ঘোষণা করেছি এবং জনগণের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য কথা বলে যাব।'
