তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্যের সাথে ‘একমত নয়’ সরকার; নভেম্বরের পরেও হবে উপদেষ্টা পরিষদের সভা
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) 'মিট দ্য রিপোর্টার্স' অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে এবং এরপর নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে।
কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার আজ (২৭ অক্টোবর) আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের এই তথ্য সঠিক নয় এবং তা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। গৃহীত নীতি-সংস্কার প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই এবং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে।
প্রেস উইং এর পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, 'তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।'
এর আগে, গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত 'মিট দ্য রিপোর্টার্স' অনুষ্ঠানে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের বিষয়ে মন্তব্য করেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্কার বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, 'গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের যে প্রস্তাব, তার মধ্যে মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের সময়সীমার মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, আমলারা পর্যালোচনা করে মোট ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। এটা খুব শিগগির দেখা যাবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এগুলো যে খুব বড় কিছু, এ রকম নয়। কিন্তু আমাদের যে সময়সীমা আছে, তখন তো ছিল তিন মাস। এখন তো আর হয়তো এক মাস আছে। কারণ, এই যে জিনিসগুলো করা হবে, সেটা ক্যাবিনেটেই করতে হবে। অথবা নীতিমালা বা অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে করতে হবে। সেটা আমরা নভেম্বরের পরে আর করতে পারব না। কারণ, নভেম্বরেই ক্যাবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, ক্যাবিনেট মিটিংটা। এরপর নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আর সম্ভবত ক্যাবিনেট মিটিং বসে না।'
ডিআরইউ আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
