চট্টগ্রাম বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি স্থগিত

চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১ শতাংশ বর্ধিত মাশুল প্রত্যাহারের দাবিতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা সপ্তাহব্যাপী কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আজ সোমবার এ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। এতে বন্দরের কার্যকম স্বাভাবিক হয়।
গত শনিবার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা দাবি আদায়ে সপ্তাহব্যাপী চার ঘণ্টা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। গতকাল রোববার তারা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন। এতে দেশের ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দরটিতে নতুন চালান খালাস কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'যেহেতু বন্দর কর্তৃপক্ষ বর্ধিত মাশুল প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে, তাই আমরাও কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
তিনি আরও বলেন, 'বন্দর কর্তৃপক্ষ আজ সকালে আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কর্মীদের কাজে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।'
ব্যবসায়ীদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরের নতুন মাশুলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। ১৫ অক্টোবর থেকে এই নতুন মাশুল কার্যকর হয়। আগের তুলনায় গড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন।
যদিও কর্মবিরতির ফলে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) কন্টেইনার সরবরাহ কার্যক্রমে তেমন কোনো প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি, তবে বন্দর কর্মকর্তারা ও শিপিং এজেন্টরা সতর্ক করে বলেছেন, এ কর্মসূচি চলতে থাকলে আগামী দিনগুলোতে বন্দরের কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দিতে পারে।