ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন থাকা অনিচ্ছাকৃত: আসিফ মাহমুদ

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন থাকার বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা একটি পোস্টে এ কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে। গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বের ওপরে যেভাবে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে কয়েক দফা, তাতে রাখাটাই স্বাভাবিক। যখন সরকারি প্রোটকল বা সিকিউরিটি থাকে না, তখন নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশে লাইসেন্সড অস্ত্র রাখা।'
বিমানবন্দরে আসিফ মাহমুদের ব্যাগে মাগাজিন থাকার বিষয়টি বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, 'মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠেয় 'ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে' অংশ নিতে আজ ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইট ছিল। ভোরে প্যাকিং করার সময় অস্ত্রসহ একটা ম্যাগাজিন রেখে আসলেও ভুলবশত আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়। যেটা স্ক্যানে আসার পর আমার প্রোটোকল অফিসারের কাছে হস্তান্তর করে আসি।'
'বিষয়টি সম্পূর্ণ আনইন্টেনশনাল (অনিচ্ছাকৃত)। শুধু ম্যাগাজিন দিয়ে আমি কী করব ভাই? ইন্টেনশন থাকলে অবশ্যই অস্ত্র রেখে আসতাম না। এখানে অবৈধ কিছু না থাকলেও অনেকের জন্যই এটা আলোচনার খোরাক বটে', লিখেছেন উপদেষ্টা।
তবে চাপ দিয়ে নিউজ সরানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন আসিফ মাহমুদ। তিনি এ বিষয়ে লিখেছেন, 'এ ঘটনার পর আমি টিমসহ টানা ১০ ঘণ্টা ফ্লাইটে ছিলাম। ট্রানজিটে নেমেও দীর্ঘক্ষণ পর অনলাইনে এসে দেখতে পাচ্ছি যে এতকিছু ঘটেছে।'
তিনি বলেন, 'নাগরিক হিসেবে আপনারও যদি নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে, যথাযথ নিয়ম ফলো করে আপনিও অস্ত্রের লাইসেন্স করতে পারেন।'
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬- তে ব্যক্তিপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানের বিষয়ে কিছু শর্তাবলী উল্লেখ করা আছে। সেগুলো হলো-
সাধারণ যোগ্যতা
(ক) আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
(খ) শারীরিক ও মানসিকভাবে সমর্থ ৩০ থেকে ৭০ বছর বয়সের কোন উপযুক্ত/যোগ্য ব্যক্তিকে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া যাবে।
(গ) আবেদনকারীকে 'ব্যক্তি শ্রেণির' আয়করদাতা হতে হবে।
(ঘ) আবেদনকারী কর্তৃক আবেদনের পূর্ববর্তী তিন কর বছরে ধারাবাহিকভাবে পিস্তল/রিভলবার/রাইফেলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম তিন লাখ টাকা এবং শটগানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম এক লাখ টাকা আয়কর দিতে হবে। আবেদনকারী পরিশোধিত আয়করের পরিমাণ উল্লেখসহ এনবিআরের ইস্যু করা প্রত্যয়নপত্র আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
(ঙ) প্রবাসী বাংলাদেশি/বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকের ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের জন্য আবেদন যোগ্যতা হিসেবে ধারাবাহিকভাবে সর্বশেষ তিন বছরে প্রতি বছর ন্যূনতম ১২ লাখ টাকা হারে রেমিট্যান্স এবং বিদেশে আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। রেমিট্যান্সকৃত অর্থ শুধু যেসব সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে, সেসব ব্যাংকের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।