নারায়ণগঞ্জে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সাবেক বিএনপি নেতাকে মারধর

টেন্ডার নিয়ে বিরোধের জেরে 'আওয়ামী লীগের দোসর' আখ্যা দিয়ে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সাবেক এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আরেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী আতাউর রহমান মুকুল (৬৮) নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান। অপরদিকে অভিযুক্ত বজলুর রহমান সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি।
আজ রোববার বেলা পৌনে ১টায় বন্দরের হরিপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের সামনে আতাউর রহমান মারধরের শিকার হন। মারধরের একপর্যায়ে তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তাকে বিবস্ত্র করা হয়।
ইতিমধ্যে হেনস্তার ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি আতাউর রহমান মুকুলকে 'আওয়ামী লীগের দোসর' আখ্যা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছেন। তার পাঞ্জাবি প্যান্ট খুলে বিবস্ত্র করা হয়েছে।
এ সময় পুলিশ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে একটি অটো রিকশায় তুলে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাবেক চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, 'বন্দরের হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক সরবরাহের একটি টেন্ডার আমরা পেয়েছি। আজ এই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার সইয়ের শেষদিন ছিল। এখানে ঝামেলা হতে পারে এ চিন্তা করে আগেই থানায় জিডি করে রাখি এবং সাথে চারজন পুলিশ নিয়ে হরিপুর আসি।'
তিনি বলেন, 'গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথেই সোনারগাঁয়ের বিএনপি নেতা বজলুর ও তার ৪০-৫০ জন লোক আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা মারধর করে আমার জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন। সেখানে থাকা দুই পুলিশ সদস্যকেও তারা মারধর করেন।'
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের দোসর আলাউদ্দিন একটি ঠিকাদারি নিয়েছে। তার পক্ষ নিয়ে মুকুল এসেছেন কাজ করতে। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে হেনস্তা করেছে। এ বিষয়ে আর কিছু জানা নেই।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি কাজ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ থেকে তার (মুকুল) ওপর হামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। তবে পুলিশ সদস্যদের মারধরের খবর পাইনি। ভুক্তভোগী হাসপাতালে আছেন, সেখান থেকে ফিরে থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।