নতুন অর্থবছরে চিকিৎসা সেবা-শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ল

চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকার বেশকিছু ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে।
আজ সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, স্বাস্থ্য সেবা সহজীকরণে ২৩২টি হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু এবং 'স্বাস্থ্য বাতায়ন' নামে হেলথ কল সেন্টারের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ পরামর্শসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া মাস্টার্স ও এফসিপিএস- এর বেসরকারি শিক্ষার্থীদের মাসিক পারিতোষিক ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কমিউনিটি শিক্ষা ভাতা এবং নার্সিং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে।চিকিৎসা শিক্ষায় বেসিক সাবজেক্ট- এর শিক্ষকদের মাসিক প্রণোদনা ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগামী অর্থবছর থেকে কার্যকর হবে।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আগামী অর্থবছরে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ৪,১৬৬ কোটি টাকা, এবং সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে কেয়ারগিভারের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী, এ খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব হলে একদিকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারিত হবে এবং একইসাথে প্রবাসী আয় অর্জনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। এ লক্ষ্যে কেয়ারগিভারদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নার্সিং শিক্ষায় পিএইচডি কোর্স চালু, এবং আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য একটি নার্স শিক্ষক প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বিষয় বিবেচনায় রয়েছে।
এছাড়া স্বাস্থ্য খাতের শূন্য পদ পূরণে চিকিৎসক, সেবিকা, টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট ও স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগ ত্বরান্বিত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টির সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ বিসিএস-এর মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে ডাক্তার নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।