নিবন্ধন ফিরে পেয়ে জামায়াত আমির বললেন, ‘ন্যায্য স্থানে প্রত্যাবর্তন’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান আজ (১ জুন) দলটির নিবন্ধন পুনর্বহালের আপিল বিভাগের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, 'দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা আইনী লড়াইয়ের পর আজ ন্যায্য স্থানে ফিরে এসেছে জামায়াত।'
শনিবার (৩১ মে) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের সর্বসম্মত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে। আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, আলহামদুলিল্লাহ।'
শফিকুর রহমান আরও বলেন, 'দীর্ঘ আইনি সংগ্রামের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ দল হিসেবে তার ন্যায্য স্থান ফিরে পেয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে আরেকটি অবিচার ও নিপীড়নের অবসান ঘটল। আমরা আপিল বিভাগের এই রায়ে সন্তুষ্ট।'
তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা প্রণয়নের আগে ও পরে জামায়াতে ইসলামী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচনে 'দাঁড়িপাল্লা' প্রতীকে অংশগ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সব অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব করেছে।'
আমির জানান, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধন হয়। তবে ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়।
পরে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট বিভক্ত রায় দিয়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে, যার বিরুদ্ধে জামায়াত আপিল করে।
বিবৃতিতে শফিকুর রহমান আরও বলেন, 'আমরা আবারও আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দীর্ঘ এই আইনি লড়াইয়ে আমাদের সহায়তাকারী সম্মানিত আইনজীবী ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।'
তিনি বলেন, 'আজকের রায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের একটি সুযোগ তৈরি করেছে। আশা করি এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ হবে, ইনশা'আল্লাহ।'
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আজ আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের আগের রায় বাতিল করে নির্বাচন কমিশনকে জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর 'দাঁড়িপাল্লা' প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস ও মুক্তির পর এই রায় আসলো। জামায়াতের আইনি দলের দাবি অনুযায়ী, এই রায়ের মাধ্যমে দলটির জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সব আইনি বাধা দূর হয়েছে।