১৮ মে-র মধ্যে হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ আদালতের

পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ১৮ মে-র মধ্যে দাখিল করতে ১২টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল না করায় আজ (৪ মে) এই আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন।
গত ১০ এপ্রিল আদালত মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করে হাসিনাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ওই সময় আদালত ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পরোয়ানা জারির বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে গত ২৫ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া আসামিদের পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযুক্তদের কেউই কোনো আদালত থেকে জামিন পাননি উল্লেখ করে তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে আবেদন করেন।
দুদকের নথি অনুযায়ী, হাসিনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক অঞ্চলে ছয়টি আবাসিক প্লট—প্রতিটি ১০ কাঠার—অবৈধভাবে বাগিয়ে নেন।
হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে পুতুল, বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার ছেলেমেয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
এই প্লটগুলোর বরাদ্দ-সংক্রান্ত ছয়টি পৃথক দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাসিনা, পুতুল ও আরও ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ১২ জানুয়ারি দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রধান আসামি পুতুল রাজউকে তার ও তার পরিবারের সম্পত্তির থাকার কথা গোপন করেছেন।
মামলার বাকি ১৬ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন সরকারি ও রাজউক কর্মকর্তারা: সাইফুল ইসলাম সরকার, পুরবী গোলদার, কাজী ওয়াসী উদ্দিন, শহীদুল্লাহ খন্দকার, আনিসুর রহমান মিয়া, মো. খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মো. নাসির উদ্দিন, শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (অব.), মো. হাফিজুর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান, শেখ শাহিনুল ইসলাম, মো. নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও শরিফ আহমেদ।
দুদক একই প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে আরও পাঁচটি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
ওই মামলাগুলোতে জয়, রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব ও আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ ও ১৫ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।