বিএনপিকে টার্গেট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: রিজভী

বিএনপিকে টার্গেট করে নানা ধরনের অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত শোকর্যালি পূর্ববর্তী সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজ বিএনপিকে টার্গেট করে নানা অপপ্রচার-কুৎসা দিয়ে ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। কিছু লোক বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, ১০ হাজার মাইল দূরে তারেক রহমান, তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আপনারা সরকারকে কিছু বলেন না, প্রশাসনকে কিছু বলেন না। সন্ত্রাসীদের ধরবে কে, রাজনৈতিক দল নাকি পুলিশ? তাদের কিছু না বলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কেন আপনারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন?
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ চায় না। এদেশের শান্তিও চায় না, গণতন্ত্র চায়না, কথা বলার স্বাধীনতা চায় না। সে চায় রক্ত, রাজত্ব, রাষ্ট্র ও লাশ। সে বাংলাদেশকে মনে করে সোনার খনি। সেই খনি তার ছেলে, মেয়ে, ভাগিনা-ভাগনি বোনসহ আত্মীয় স্বজন মিলে পাচার করেছে।
তিনি আরো বলেন, ইদুরের গর্ত থেকে শেখ হাসিনার সম্পত্তি বেরিয়ে আসছে একটার পর একটা। আর সেই সোনার ছেলেরাই গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। নিরীহ মানুষকে ভাতের অধিকারের পরিবর্তে সন্ত্রাসী পরিবেশ উপহার দিচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। তাদের বুঝতে হবে মানুষ এখন আর রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। তারা জানে কীভাবে লড়াই করে বাঁচতে হবে। এদেশের মানুষ রক্ত দিতে যেমন জানে, ঠিক তেমনি রক্ত নিতেও পারে। তাই সাধারণ মানুষের বাঁচার অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। ৫ আগস্টের মতো অভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা নিন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়ে জানিয়ে দিয়ে গেছে এই দেশ ফ্যাসিস্টদের না। এই দেশ দানবদের না। এই দেশ রক্ত পিপাসুদের না।
তিনি বলেন, ছাত্ররা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন মার্চ ফর গোপালগঞ্জ। এই ঘোষণা শুনে শেখ হাসিনা তার নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যারা গোপালগঞ্জ যাবে, তাদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবে। এ কারণে এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের লড়াই। কিন্তু সেই লড়াইয়ের মধ্যে কেন আজ বিভেদ? এককভাবে কিছু করা যায় না। সম্মিলিতভাবে আমাদের শক্তি যা ছিল, সেটা প্রদর্শন করলে কোনো পতিত স্বৈরাচার কিছু করার সাহস পেত না।