২০২৬ সালের মাঝামাঝি প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ডলার ছাড়াবে: জেপি মরগান

মার্কিন অর্থনীতি মন্দার ঝুঁকিতে রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে—এই প্রেক্ষাপটে আগামী বছরে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জেপি মরগান।
ব্যাংকটি এক নোটে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তিকে প্রতি আউন্স স্বর্ণের গড় দাম ৩ হাজার ৬৭৫ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ২০২৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৪ হাজার ডলারের ওপরে চলে যেতে পারে। তবে ব্যাংকটি সতর্ক করে জানিয়েছে, যদি চাহিদা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়, তাহলে এ পূর্বাভাস তার আগেই ছাড়িয়ে যেতে পারে।
জেপি মরগান বলেছে, 'আমাদের এ পূর্বাভাসের ভিত্তি হচ্ছে—চলতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিনিয়োগকারীদের সম্মিলিতভাবে শক্তিশালী স্বর্ণচাহিদা, যা গড়ে প্রতি প্রান্তিকে ৭১০ টন হতে পারে।'
চলতি বছর এ পর্যন্ত ২৯ শতাংশ দাম বেড়েছে স্বর্ণের, আর নতুন রেকর্ড হয়েছে ২৮ বার। মঙ্গলবারই প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৫০০ ডলার ছুঁয়েছে।
অন্যদিকে, গোল্ডম্যান স্যাকস চলতি মাসের শুরুর দিকে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ স্বর্ণের দাম পূর্বাভাস ৩ হাজার ৩০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৭০০ ডলার করেছে। তারা বলেছে, 'চূড়ান্ত আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে' স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
তবে মূল্য কমার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না জেপি মরগান। তাদের মতে, যদি হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণ কেনা কমিয়ে দেয়, সেটি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্লেষকরা আরও বলেছেন, 'সবচেয়ে নেতিবাচক পরিস্থিতি হবে যদি মার্কিন অর্থনীতি শুল্কের চাপেও দৃঢ় থাকে এবং ফেডারেল রিজার্ভ আগেভাগে মুদ্রাস্ফীতির শঙ্কায় সুদের হার বাড়াতে শুরু করে। এমন হলে বাজার আগেই সুদবৃদ্ধির সম্ভাবনা মূল্যায়ন শুরু করে দেবে।'
এছাড়া ব্যাংকটি রূপার ক্ষেত্রেও স্বল্পমেয়াদে কিছু চাপের আভাস দিয়েছে। তাদের মতে, শিল্পখাতে রূপার চাহিদা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে দাম কিছুটা স্থির থাকতে পারে। তবে ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে রূপার দাম বাড়ার 'ক্যাচ-আপ উইন্ডো' তৈরি হবে এবং বছরের শেষে তা ৩৯ ডলার প্রতি আউন্সে পৌঁছাতে পারে।