নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ

নারীর প্রতি দেশব্যাপী চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।
আজ রোববার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে শিক্ষক নেটওয়ার্কের উদ্যোগে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মানুষ মূলত নির্যাতন করে ক্ষমতার বিস্তারের জন্য। মানুষ জানে নারী নিপীড়ন করলে শান্তি হয় না, বরং সমাজ সেটাকে নরমালাইজ করে। এজন্য দেশে নারী নিপীড়ন সাংঘাতিকভাবে বেড়ে গেছে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করেন এবং তাদের ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন, 'ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করছি। একইসঙ্গে যারা ওই শিক্ষার্থীকে বুলিং ও সাইবার আক্রমণের শিকার করিয়েছেন এবং ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।'
তিনি আরও বলেন, 'মব তৈরি করে নারীর অমর্যাদাকে বীরত্ব বলে প্রতিষ্ঠিত করার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার করা উচিত।' পাশাপাশি, যৌন নির্যাতন এবং নৈতিক পুলিশের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে বরখাস্ত করার দাবি জানান।
ড. সামিনা লুৎফা আরও বলেন, 'আমরা দেখেছি যে এর আগেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে সারা ক্যাম্পাসকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল প্রশাসন থেকে, যা নাগরিকের প্রতিবাদের মুখে তারা তুলে নিতে বাধ্য হন। কিন্তু আজ যখন নিজের প্রতিষ্ঠানেরই এক কর্মচারীর দ্বারা নিপীড়নের শিকার হন শিক্ষার্থী তখন প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিতে দেরি করে বা গড়িমসি করে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়'।
'আশা করি প্রশাসন খতিয়ে দেখবে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এলাকায় নিরসনযোগ্য একটি সমস্যাকে শাহবাগ থানায় পাঠিয়ে বাইরের লোকের কাছে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীর জীবন ঝুঁকিতে ফেলার কোন বয়ান নির্মাণের জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছে', যোগ করেন তিনি।