অস্কারে সেরা ডকুমেন্টারির পুরস্কার: ফিলিস্তিনের 'নো আদার ল্যান্ড'

ফিলিস্তিনি আন্দোলনকারীদের সংগ্রামের গল্প নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি ফিল্ম 'নো আদার ল্যান্ড' ৯৭তম অস্কারের সেরা ডকুমেন্টারির পুরস্কার জিতেছে।
ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত এই ডকুমেন্টারির বেসেল আদ্রাকে কেন্দ্র করে নির্মিত, যিনি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে তার শহরকে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কাজ করছেন। শহরটি পশ্চিম তীরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এবং ইসরায়েলি সেনারা এটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। আদ্রা তার শহরে ঘটে যাওয়া ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম নথিভুক্ত করার জন্য গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন। তার আকুল আবেদন একাধিকবার উপেক্ষিত হলেও, তিনি এক ইহুদি ইসরায়েলি সাংবাদিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন, যিনি তার গল্প তুলে ধরতে সাহায্য করেন।
আদ্রা বলেন, 'প্রায় দুই মাস আগে আমি বাবা হয়েছি এবং আমার একমাত্র আশা, আমার মেয়ে যেন আমার মতো জীবন না কাটায়, যেখানে তাকে প্রতিনিয়ত বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ, সহিংসতা, বাড়ি ভাঙা এবং জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি মোকাবিলা করতে হয়।'
'নো আদার ল্যান্ড' বিভিন্ন উৎসবের সার্কিটে সফলভাবে প্রদর্শিত হওয়ার পর অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। তবে, এটি ২৪টি দেশে বিতরণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেও, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বিতরণকারী পায়নি। 'পোরসিলিন ওয়ার', 'সুগারকেন', 'ব্ল্যাক বক্স ডায়েরিজ'-এর মতো ডকুমেন্টারিকে পেছনে ফেলে অস্কার জিতেছে।
এই ডকুমেন্টারিটি ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত চার বছরে শুট করা হয়েছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর কয়েকদিন আগে এটি নির্মাণ শেষ হয়।
ডকুমেন্টারিতে দেখা যায়, ইসরায়েলি সাংবাদিক ইউভাল আব্রাহাম একটি সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দেন, যারা তাদের বাড়িতে থাকার জন্য লড়াই করছে। কিন্তু একজন ইসরায়েলি নাগরিক হিসেবে তিনি যে সুবিধা ভোগ করেন তা নিয়ে কিছু ফিলিস্তিনি তাকে চ্যালেঞ্জ করেন। আদ্রা, যিনি একজন স্থানীয়, তিনি পশ্চিম তীরে থাকতে পারবেন না এবং তার সাথে অপরাধী হিসেবে আচরণ করা হয়। অথচ আব্রাহাম স্বাধীনভাবে আসা-যাওয়া করতে পারেন।
'নো আদার ল্যান্ড'-এ আদ্রার ক্যামকর্ডার ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিভিন্ন দমন-পীড়নের ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে।