বেজার অধীনে আসছে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন

কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীনে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডা মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন আমাদেন বেজার আওতায় এসেছে। কিছু দাপ্তরিক কাজ বাকি আছে।'
এসময় তিনি বলেন, 'এছাড়া যে সব বিনিয়োগকারী জমি নিয়েছে কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি, তাদেরকে শিল্প নির্মাণে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা বেজাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'যদি এসব বিনিয়োগকারী আমাদের পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখে শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণে উন্নয়ন কাজ শুরু করতে অপারগ হয়, তাহলে তাদেরকে জমি বেজার কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা সফলতা পেতে শুরু করেছি।'
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন স্থানে সরকারি যে অব্যবহিত জমি রয়েছে সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে (পাটকল ও চিনিকল)।
তিনি আরও বলেন, 'বেজা যদি আগামী ২ বছরে পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামীতে আরও ভালো উদ্যোগ গ্রহণে সক্ষম হবে। তবে এজন্য প্রয়োজন হবে সরকারের সব বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ।'
চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, 'বেজার মালিকানাধীন অব্যবহৃত জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ শুরু করেছি। এছাড়া জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল শ্রমিকদের আবাসিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ফেনী নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।'
তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি দেশে ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে আগামী ১০ বছরে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্দেশ্য সফল হবে। বিশেষ করে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ জাপানিজ ও জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাস্তবায়ন হলে আগামীতে আরও অনেক অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পথ সুগম হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরি আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, 'দীর্ঘমেয়াদে ১০০ টি জোন হতে পারে, এর বেশিও হতে পারে।'
তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে মোট ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।'