Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
December 18, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, DECEMBER 18, 2025
যেভাবে এক ভুতুড়ে কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নিল ১ হাজার ১৬২ কোটি টাকা

অর্থনীতি

শাখাওয়াত প্রিন্স
20 December, 2024, 09:30 am
Last modified: 20 December, 2024, 09:31 am

Related News

  • ধার করে বেশিদূর এগোনো যায় না, এটা ‘স্বপ্নের পোলাও’ নয় যে ইচ্ছামতো ঘি ঢালব: অর্থ উপদেষ্টা
  • বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ঋণের ফাঁদে পড়েছে: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • বিশ্বের কোন কোন দেশের ঋণ-জিডিপি অনুপাত সবচেয়ে কম?
  • অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আরও কমে ৬.২৩ শতাংশে
  • আইসিবির পতন: পোর্টফোলিওতে লোকসান ৫,০০০ কোটি টাকা, ঋণের বোঝায় ডুবছে প্রতিষ্ঠান 

যেভাবে এক ভুতুড়ে কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নিল ১ হাজার ১৬২ কোটি টাকা

মানহা প্রিকাস্ট এবং ডেকিং স্মার্ট ব্যাটারির নেওয়া ঋণসহ ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে মাইশা গ্রুপের মোট পাওনা প্রায় চার হাজার ২৩৬ কোটি টাকা।
শাখাওয়াত প্রিন্স
20 December, 2024, 09:30 am
Last modified: 20 December, 2024, 09:31 am

ইনফোগ্রাফিক: টিবিএস

ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে শতশত কোটি টাকার ঋণ নেওয়া মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজি লিমিটেডের জন্য যেন তুড়ি বাজানোর মতোই সহজ ছিল। অথচ এ কোম্পানির অস্তিত্ব কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। তাদের কোনো অফিস বা কারখানা ছিল না, তবুও ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকটি থেকে ৬৪৭ কোটি টাকার ঋণ পেয়েছিল।

কিন্তু ঘটনার শেষ এখানেই নয়।

এক চতুর কৌশলের মাধ্যমে মানহা প্রিকাস্ট নিজেদের নাম পরিবর্তন করে ডেকিং স্মার্ট ব্যাটারি লিমিটেড রাখে। এ নতুন পরিচয়ে তারা আরও ৫১৫ কোটি টাকার ঋণ নেয় ব্যাংকটি থেকে। ফলে কোম্পানিটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ১৬২ কোটি টাকায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে এ আর্থিক কারসাজির চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর হাতে এসেছে। এ কারসাজির পেছনে মূল ভূমিকা ছিল মাইশা গ্রুপের। আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামুল হকের প্রতিষ্ঠিত এ গ্রুপটি মানহা প্রিকাস্ট ও ডেকিং স্মার্ট ব্যাটারি'র মূল মালিক।

মাইশা গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে চার হাজার কোটি টাকার ঋণ বকেয়া নিয়ে এটি ব্যাংকের শীর্ষ খেলাপিদের তালিকায় স্থান পেয়েছে। এ ঋণ পরিশোধের কোনো উদ্যোগ আপাতত নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে মানহা প্রিকাস্টের ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়ার অসংখ্য অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে বিপুল অঙ্কের ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের প্রতিটি ধাপেই অনিয়মের নজির পাওয়া গেছে।

মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠার দিনেই কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। আর সেদিনই তারা ঋণের জন্যও আবেদন করে ফেলে।

অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের মনোনীত সার্ভেয়ারও একই দিনে জামানত হিসেবে তৃতীয় পক্ষের জমির মূল্যায়ন সনদ জারি করেন। বেশিরভাগের কাছে এ পুরো কাজটি এত দ্রুত সম্পন্ন করার চিন্তা দুঃস্বপ্ন মনে হবে।

এর পরদিন ২৭ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নতুন এ কোম্পানির জন্য ২৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে। এর মধ্যে ১৭০ কোটি টাকা মেয়াদি ঋণ এবং ৮০ কোটি টাকা কার্যকরী মূলধন হিসেবে বরাদ্দ করা হয়। মানহা প্রিকাস্ট প্রতিষ্ঠার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এ ঋণ অনুমোদন সম্পন্ন হয়।

২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর মানহা প্রিকাস্টের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে ডেকিং স্মার্ট ব্যাটারি টেকনোলজি করার সিদ্ধান্ত নেয়। মাত্র দুদিনের মধ্যেই যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) এ নাম পরিবর্তনের অনুমোদন দেয়। এরপর নতুন নামে ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পুনঃব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে মাইশা গ্রুপ ন্যাশনাল ব্যাংকের একক ঋণগ্রহীতার সীমা অতিক্রম করার সুযোগ পায় এবং ঋণপ্রবাহ অব্যাহত রাখে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে অনিয়মের চিত্র

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পের অগ্রগতি যাচাইয়ের জন্য সাইট পরিদর্শনের নির্দেশনা থাকলেও ব্যাংক তা করেনি।

এ ছাড়াও, ঋণগ্রহীতা কীভাবে ঋণের টাকা ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো যাচাই না করেই অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে উঠে এসেছে, ঋণের টাকা বরং জমি কেনার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংককে পরামর্শ দিয়েছে মানহা প্রিকাস্টকে দেওয়া এ ঋণ দ্রুত প্রত্যাহার করতে। কারণ, কোম্পানিটির কোনো সক্রিয় অফিস নেই এবং কারখানারও কোনো অস্তিত্ব নেই। পাশাপাশি, এ ঋণ অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

ইনফোগ্রাফিক: টিবিএস

যা বলছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা

প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাইশা গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত আসলামুল হক। তার মৃত্যুর পর ব্যবসার দায়িত্ব নেন তার স্ত্রী মাকসুদা হক।

মাইশা গ্রুপের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি টিবিএসকে বলেন, 'আসলামুল হকের মৃত্যুর পর থেকেই মাইশা গ্রুপের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এখন আমাদের কোনো অধিভুক্ত কোম্পানিও চালু নেই।'

ব্যাংক ঋণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'মাইশা গ্রুপের নামে কত ঋণ রয়েছে, সে সম্পর্কে আমি পুরোপুরি জানি না। তবে আমাদের সম্পদ ব্যবহার করে ঋণ পরিশোধের ইচ্ছা আছে।'

তিনি স্বীকার করেন, মানহা প্রিকাস্ট এবং ডেকিং স্মার্ট ব্যাটারি তাদেরই কোম্পানি। তবে এ দুই প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলে দাবি করেন।

ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. তৌহিদুল আলম খান টিবিএসকে বলেন, 'মাইশা গ্রুপ আমাদের শীর্ষ খেলাপি গ্রাহকদের একজন। আমরা ব্যাংক কোম্পানি আইনের বিধি মেনে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

তিনি আরও জানান, 'মাইশা গ্রুপের কাছে ন্যাশনাল ব্যাংকের তিন হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। এসব ঋণ প্রদান প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু অনিয়ম হয়েছে।'

'আমরা অভ্যন্তরীণ অডিটের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করছি। অডিট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি বোর্ডে উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।'

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল ব্যাংকের মোট ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা খেলাপি, যা মোট ঋণের ২৫ দশমিক ১০ শতাংশ।

মানহা প্রিকাস্টের সন্দেহজনক ঋণ প্রক্রিয়া

২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মানহা প্রিকাস্ট তাদের আরজেএসসি ফাইলিংয়ে জানায়, এটির পরিশোধিত মূলধন ১০ লাখ টাকা। পরিচালক হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন মনসুর আলী ও সাকি ইসলাম পাপ্পু।

সেদিনই ব্যাংক থেকে এটির নামে ২৩৬ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ এবং ১১৬ কোটি টাকার কার্যকরী মূলধন ঋণ মঞ্জুর করা হয়।

ঋণের জন্য জমির মূল্যায়ন সনদে মালিক হিসেবে উল্লেখ করা হয় মমতাজুল হক, মেসার্স মাইশা প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টস লিমিটেড এবং মেসার্স মাহিম রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের নাম।

২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঋণ প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাবে প্রকল্পের ব্যয় ৫৬৯ কোটি টাকা ধরা হয়, যার মধ্যে ক্লায়েন্টের ইক্যুইটি হিসেবে ২১৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা প্রদানের কথা জানায় শাখা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ব্যাংক কীভাবে প্রকল্পের ব্যয়ের ২১৬.৫৪ কোটি টাকা ইক্যুইটি হিসেবে অনুমোদন করেছিল।

ঋণ অনুমোদনের পরদিন ব্যাংকটির দিলকুশা শাখা গ্রাহকের চলতি হিসাবে ৯০ কোটি টাকা নগদ বিতরণ করে। এরপর ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি এবং ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি তারিখে ১০ কোটি টাকা করে পরিশোধ করা হয়। ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি আরও ১০ কোটি টাকা পরিশোধের পাশাপাশি তিন কোটি টাকা এবং সাত কোটি টাকার দুটি পেমেন্ট অর্ডার জারি করা হয়।

পরে, ২০১৮ সালের ২০ জুন মেয়াদি ঋণ আরও ১০২ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। ২০১৯ সালের ৮ মে আরও ১০৩ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ঋণের পরিমাণ ৩৭৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়।

বর্তমানে মানহা প্রিকাস্টের কার্যকরী মূলধন ও মেয়াদি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪৭ কোটি টাকায়।

নাম পরিবর্তন: আরও ঋণ নেওয়ার কৌশল

২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর আরজেএসসি-এর অনুমোদন নিয়ে মানহা প্রিকাস্টের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ডেকিং স্মার্ট ব্যাটারি।

কোম্পানির নিবন্ধিত অফিসের ঠিকানা ছিল সীমা ব্লুম, ৭ম তলা, বাড়ি নং ৩, রোড নং ১৬ (পুরাতন-২৭), ধানমন্ডি। একই ঠিকানায় ন্যাশনাল ব্যাংকের দিলকুশা শাখার গ্রাহক মাইশা প্রপার্টিজ এবং সিএলসি পাওয়ার লিমিটেডের অফিসও ছিল।

এ প্রতিবেদক সীমা ব্লুমে গিয়ে তালিকাভুক্ত ঠিকানাটি পরিদর্শন করেন। নিরাপত্তারক্ষী এবং কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে সেখানে ডেকিং স্মার্ট ব্যাটারির সাইনবোর্ড দেখা গিয়েছিল। তবে তারা জানান, কোম্পানিটি এখন আর ওই স্থানে কার্যক্রম চালায় না এবং তাদের কার্যক্রম প্রায় দুবছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের দিলকুশা এবং গুলশান শাখা থেকে নতুন এ প্রতিষ্ঠানের ঋণ দ্রুত অনুমোদন দেওয়া ও বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কারখানা নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালের ৯ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো পরিদর্শন ছাড়াই পুরো অর্থ বিতরণ করা হয়। বরাদ্দের টাকা চলতি হিসাবে স্থানান্তরের এক দিনের মধ্যেই নগদে তুলে নেওয়া হয়।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে প্রস্তাবিত কারখানা নির্মাণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, এমনকি সেখানে স্মার্ট বা হাইব্রিড ব্যাটারি উৎপাদনের কোনো চিহ্নও মেলেনি।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহকের মেয়াদি ঋণের সীমা ২২৬ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫১ কোটি টাকা করে ব্যাংক। ক্লায়েন্ট ২৫ কোটি টাকার আবেদন করলেও গুলশান কর্পোরেট শাখা ৫০ কোটি টাকা অনুমোদন করে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫১৫ কোটি টাকায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ন্যাশনাল ব্যাংকে মাইশা গ্রুপের খেলাপি ঋণ

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আসলামুল হকের প্রতিষ্ঠিত মাইশা গ্রুপের সঙ্গে একাধিক শেল কোম্পানির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এসব কোম্পানির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আসলামুল হকের মালিকানাধীন কেরানীগঞ্জে অবস্থিত সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের নামে ন্যাশনাল ব্যাংকের এক হাজার ৫৭০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।

এছাড়া একই গ্রুপের অধীনে থাকা ঢাকা নর্থ পাওয়ার ইউটিলিটি কোম্পানি লিমিটেডের নামে ৩৭৮ কোটি টাকা এবং ঢাকা ওয়েস্ট পাওয়ার লিমিটেডের নামে ৭৯ কোটি টাকার ঋণ পাওয়া গেছে।

ঢাকা নর্থ পাওয়ার ইউটিলিটি কোম্পানি লিমিটেডের নামে ৩৭৮ কোটি টাকা এবং ঢাকা ওয়েস্ট পাওয়ার লিমিটেডের নামে ৭৯ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে একই গ্রুপের অধীনে। এর পাশাপাশি, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি মাইশা প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের নামে রয়েছে ৬৫৬ কোটি টাকা ঋণ।

ন্যাশনাল ব্যাংক মাহিম রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের জন্য ৩৮০ কোটি টাকা এবং মাহিম ট্রেড লিংক লিমিটেডের জন্য ১১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠানও মাইশা গ্রুপের অধীন।

২০২২ সালের ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্যাংকের কাছে মাইশা গ্রুপের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন হাজার ৭৪ কোটি টাকায়।

এছাড়া, মানহা প্রিকাস্ট এবং ডেকিং স্মার্ট ব্যাটারির নেওয়া ঋণসহ ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে মাইশা গ্রুপের মোট পাওনা প্রায় চার হাজার ২৩৬ কোটি টাকা।

সুদের কারণে এ বকেয়া অর্থের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

Related Topics

টপ নিউজ

ঋণ জালিয়াতি / ন্যাশনাল ব্যাংক / ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড / ঋণ অনাদায়ী / ঋণ কেলেঙ্কারি / ঋণ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ছবি: সংগৃহীত
    সচিবালয় ভাতার দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধের জেরে ১৪ কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
  • ফাইল ছবি/ভিডিও থেকে নেওয়া
    বিশ্বব্যাংকের সালিশি আদালতে এস আলমের করা আবেদনের বিরুদ্ধে লড়বে সরকার: গভর্নর
  • গ্রাফিক: টিবিএস
    বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
  • ফাইল ছবি/সংগৃহীত
    নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকায় আজ দুপুর থেকে বন্ধ ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র 
  • ছবি: টিবিএস
    ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বর প্লেট উদ্ধার
  • কোলাজ: টিবিএস
    মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: আদালতে দায় স্বীকার করলেন গৃহকর্মী আয়েশা

Related News

  • ধার করে বেশিদূর এগোনো যায় না, এটা ‘স্বপ্নের পোলাও’ নয় যে ইচ্ছামতো ঘি ঢালব: অর্থ উপদেষ্টা
  • বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ঋণের ফাঁদে পড়েছে: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • বিশ্বের কোন কোন দেশের ঋণ-জিডিপি অনুপাত সবচেয়ে কম?
  • অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আরও কমে ৬.২৩ শতাংশে
  • আইসিবির পতন: পোর্টফোলিওতে লোকসান ৫,০০০ কোটি টাকা, ঋণের বোঝায় ডুবছে প্রতিষ্ঠান 

Most Read

1
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

সচিবালয় ভাতার দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধের জেরে ১৪ কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

2
ফাইল ছবি/ভিডিও থেকে নেওয়া
বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাংকের সালিশি আদালতে এস আলমের করা আবেদনের বিরুদ্ধে লড়বে সরকার: গভর্নর

3
গ্রাফিক: টিবিএস
বাংলাদেশ

বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

4
ফাইল ছবি/সংগৃহীত
বাংলাদেশ

নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকায় আজ দুপুর থেকে বন্ধ ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র 

5
ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বর প্লেট উদ্ধার

6
কোলাজ: টিবিএস
বাংলাদেশ

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: আদালতে দায় স্বীকার করলেন গৃহকর্মী আয়েশা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net