দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে চীনা কোম্পানি

চীনের জৈব-প্রযুক্তি কোম্পানি সাইনোভ্যাক বাংলাদেশে তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান বিষয়টি জানিয়েছেন।
''প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি (সাইনোভ্যাক) বলছে- তারা বাংলাদেশে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোয় কর্মরত ৪ হাজার ২শ' স্বাস্থ্য কর্মীর দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করবে। তবে সরকার অন্যান্য দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও খোঁজ-খবর রাখছে। বিশেষ করে, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন নিয়েও আমাদের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে।''
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেছেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশ যথাযথ সময়ে পাবে। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাইন্ডেশন এজন্য করা তালিকায় বাংলাদেশকে রেখেছে। আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ফাউন্ডেশনের বৈঠকেও বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধ করেছে তারা। তাই আমাদের প্রত্যাশা গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় কিছু ভ্যাকসিন অবশ্যই বাংলাদেশে পৌঁছাবে।
এদিকে সাইনোভ্যাকের উৎপাদিত ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগে কোম্পানিটির নূন্যতম ৬ থেকে ৭ মাস সময় লাগবে। তবে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার অংশ হিসেবে ১৮ থেকে ৫৯ বছরের স্বাস্থ্য কর্মীরা সবার আগে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটি পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজি জেবুন্নেসা বেগম ও মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এবং আইসিডিডিআরবি'র জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা এ বৈঠকে অংশ নেন।