ভোলায় ৭৬৩ হেক্টর জমির ফসল ও বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত

ঘুর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও চরাঞ্চলের ৩০টি কাঁচাঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারে নিমজ্জিত ঢাল চর কুকরি মুকরিসহ বিভিন্ন চরের পানি নেমে গেছে। এসব চর চার থেকে পাঁচ ফুট পানিতে প্লাবিত হওয়ায় চার শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও প্রায় ৭৬৩ হেক্টর জমির ফসল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহামদ জানান, জেলার সাত উপজেলার প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও একটি স্লুইজগেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনপুরায় সোয়া তিন কিলোমিটার, চরফ্যাশনে এক কিলোমিটার, তজুমদ্দিনে ৭৫০ মিটার, বোরহানউদ্দিনে ৭৬০ কিলোমিটার, দৌলতখানে ৩৫০ মিটার, সদর উপজেলায় ৩৬০ মিটার বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। শিগগিরই এগুলো মেরামতের জন্য কাজ শুরু করা হবে।
কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক হরলাল মধু জানিয়েছেন, কৃষকদের সর্তক করায় আগাম বোর ধান কেটে নেওয়ায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে প্রাথমিক হিসাবে ৭৬৩ হেক্টর জমির রবিশস্য ও শাক সবজির ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে চিনাবাদম, মরিচ, মুগ, গ্রীষ্মকালীন তিল, সবজি ও বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান রয়েছে।
কৃষকদের তথ্যানুযায়ী, এতে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বৃহস্পতিবার চরাঞ্চালের মানুষজন নিজ নিজ বাড়িতে ফেরা শুরু করেছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। তবে সরকারিভাবে এখনো ক্ষয় ক্ষতির তালিকা চূড়ান্ত হয়নি।