কোভিড-১৯ নিয়ে অপপ্রচার বিস্তারের টিকা হলেন সাংবাদিকরা: জাতিসংঘ মহাসচিব

আগামীকাল রোববার বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস। এই উপলক্ষে পুরো বিশ্বের সংবাদকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেজ। সেখানে তিনি মহামারিকালে জনগণের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন, তা তুলে ধরেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বিশ্ব মহামারি বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে মিথ্যে প্রচারণার দ্বিতীয় আরেক সংক্রমণও ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী। এসব প্রচারণার মাঝে ক্ষতিকর পরামর্শ থেকে শুরু করে উদ্ভট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব- সবই আছে।
'এর বিপরীতে অবস্থান নিয়ে গণমাধ্যম সঠিক, নির্ভরযোগ্য উৎসের বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করছে।'
গণমাধ্যমের এমন ইতিবাচক ভূমিকার কারণে মানুষ সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলেও জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে সঠিক সংবাদ জীবন ও মৃত্যুর মাঝে পার্থক্য নির্ধারণকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বিশ্ব মহামারির সঙ্কট গভীর রূপ ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই অপপ্রচারের মহামারি বা 'ইনফোডেমিক' প্রতিরোধের লড়াইয়ে নামে জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এর আগে গত মার্চের শেষদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব নতুন রোগটিকে ঘিরে নানা মিথ্যে প্রচারণা এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিস্তার রোধে একটি গণযোগাযোগ কৌশলও ঘোষণা করেছিলেন।
সাংবাদিকদের সুরক্ষিত রাখুন
জাতিসংঘ মহাসচিব নিজ বার্তায় বিশ্বের সকল দেশের সরকারের প্রতি সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমে কর্মরতদের সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানান। এর মধ্যে দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের অনুরোধ করেন তিনি।
আন্তোনিও গুতারেজ বলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সাময়িক চলাচল নিষেধাজ্ঞা অবশ্যই কার্যকর, তবে এসব অজুহাত দেখিয়ে সাংবাদিকদের কাজ করার অধিকার খর্ব করা উচিত হবে না।
এর আগে জাতিসংঘের এক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ জানান, বিশ্ব মহামারির পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অনেক প্রতিশোধমূলক দমন-পীড়নের কথা জেনেছেন। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যে সংবাদ প্রচারের অপবাদ দিয়ে এসব নির্যাতন করা হচ্ছে।