জাতীয় দলের সহকারী কোচের পদে আগ্রহ নেই সালাহউদ্দিনের

রাসেল ডমিঙ্গো দায়িত্ব ছাড়ার পর প্রধান কোচ খুঁজতে বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাবেক কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের হাতে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। এবার সহকারী কোচের সন্ধানে বিসিবি, পছন্দের তালিকায় আছে কয়েকজনের নাম। এই পদে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন কেমন হতে পারেন? কেমন হবে, সেটা পরের আলোচনা; সহকারী কোচের পদে আগ্রহই নেই স্থানীয় এই কোচের।
বছর দুয়েক আগে সহকারী কোচ হওয়ার প্রস্তাব পান চলতি বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকা সালাহউদ্দিন। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকায় মৌখিকভাবে পাওয়া প্রাথমিক সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি তিনি। সে সময় তাকে কোচিং স্টাফে নিতে আগ্রহ দেখান বিসিবি পরিচালক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও।
বিপিএলের সফলতম কোচ সালাহউদ্দিন, তিনবার কুমিল্লাকে শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। ঘরোয়া অন্যান্য লিগেও সফলতার সঙ্গে কোচিং করিয়ে আসছেন তিনি। এ ছাড়া অনেক ক্রিকেটারই ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানে ছুটে যান তার কাছে। সেই তালিকায় আছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুমিনুল হকদের মতো ক্রিকেটাররা।
যে পদটি নিয়ে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন, জাতীয় দলে সেই পদে অবশ্য কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। জেমি সিডন্স প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগের বছর ২০০৬ সালে জাতীয় দলের সহকারী কোচ হন সালাউদ্দিন, কাজ করেন ২০০৮ সাল পর্যন্ত। ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত।
পুরনো সেই পদে হাথুরুসিংহের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কিনা, শনিবার এমন প্রশ্ন করলে বিসিবির কাউকে এই দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয়, বোর্ডের যারা নিয়োগকৃত আছে, তাদের থেকে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। তারা অনেক দিন ধরে বোর্ডে কাজ করছেন। বিভিন্ন কোচের সঙ্গে কাজ করছেন। তারা আসলে হাতুরুসিংহের সম্পর্কে জানে। তারা হয়তো তাকে সেরা সার্ভটা করতে পারবেন।'
'আমি আসলে ডেভেলপমেন্টের ছেলেদের চিনি না, এমনকি এইচপির ছেলেদেরও চিনি না। আমার একটা জায়গায় কাজ করতে হলে সব জ্ঞান লাগবে এবং সেই কোচটা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। হাতুরুসিংহের মানসিকতা কেমন, সে কেমন কোচ, তা আমি জানি না। আমি যার সাথে কাজ করব, তার ব্যাপারে আমার জানা দরকার।' যোগ করেন সালাহউদ্দিন।
নিজের সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন। তার ভাষায়, 'আমার এখন যে বয়স, নিজে থেকে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা আমারও আছে কিনা, আমি জানি না। কারণ গত ৫-১০ বছর ধরে প্রধান কোচ হিসেবে আমি নিজেই কাজ করছি। এখন সহকারী কোচের দায়িত্বটা আমি পারব কিনা, আমার সেই সার্বিক ক্ষমতা আছে কিনা, সেটাও দেখতে হবে। কারণ সহকারী কোচদের কাজ অনেক বেশি।'