চট্টগ্রামে ত্রাণের জন্য থানার সামনে বিক্ষোভ

চট্টগ্রামে ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ করেছেন প্রায় চার শতাধিক মানুষ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বন্দর থানার সামনে এ বিক্ষোভ হয়। পরে পুলিশ ত্রাণ দেয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর দুইটার দিকে বিক্ষোভকারীরা সরে যায়।
বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার স্যার ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ খবর পেয়ে আশপাশের বস্তির লোকজন থানার সামনে হাজির হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর আমরা তাদেরকে বলছি, প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে যাবে। তখন বিক্ষোভকারীরা সরে যায়।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন বিত্তবানদের দেয়া সহায়তার মাধ্যমে সিএমপি ত্রাণ দিচ্ছে। এসব ত্রাণ অসহায়দের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে বুধবার নগরের জিইসি এলাকায় শত শত মানুষ ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা সরকারি এবং বেসরকারি কোনো সংস্থা থেকে ত্রাণ পাচ্ছে না।

কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে সাড়ে ১৪ লাখ বস্তিবাসীসহ ৩০ লাখ মানুষ আছে ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য। তবে সরকারিভাবে মাত্র সাড়ে ১৭ হাজার মানু্ষকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।
ক্যাবের সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, চাহিদার তুলনায় সরকারি ত্রাণ খুবই কম। এজন্য অনেকে কষ্টে দিন যাপন করছেন। তাদেরকে জরুরিভাবে সহায়তা দেওয়া উচিৎ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী বলেন, অস্বচ্ছল সাড়ে ১৭ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া শুরু হয়েছে। নগর ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন এসব ত্রাণ বিতরণ করছে। ১০ দিনের মধ্যে এসব সামগ্রী বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এগুলো বিতরণ শেষে নতুনভাবে বরাদ্দ পাওয়া গেলে আবার হতদরিদ্রের সহায়তা দেওয়া হবে। যতটুকু বরাদ্দ আসছে সব বিতরণ করে দেওয়া হচ্ছে।