ইসরায়েলে পৌঁছেছেন ট্রাম্প, ভাষণ দেবেন নেসেটে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে জেরুজালেমের ইসরায়েলী পার্লামেন্ট ভবন নেসেটে পৌঁছেছেন। তার সঙ্গে থাকা সাংবাদিকরা জানিয়েছেন যে, রাস্তায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেখা গেছে।
ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ান দীর্ঘ ফ্লাইটে ভ্রমণ করে ইসরায়েলে পৌঁছান। ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ট্রাম্প নেসেটে থাকাকালীন বেসামরিক বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন এবং এর পরে নেসেটে ভাষণ দেবেন। সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০০৮ সালে ইসরায়েলে ভাষণ দিয়েছিলেন জর্জ ডব্লিউ. বুশ।
প্রথম সাতজন বন্দিকে মুক্ত করা হয়েছে এবং দুই বছরের বন্দিত্বের পর তারা এখন ইসরায়েলে। তারা রেইম ফিল্ড হাসপাতালে প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষা করাবেন এবং ঘনিষ্ঠ পরিবার ও প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করবেন, এরপর তাদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
গাজায় এখনও ১৩ জন বেঁচে থাকা বন্দি রয়েছেন, যাদের আজ মুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অপরদিকে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ও আটককৃতরা সোমবার গাজার খান ইউনিসে নাসের হাসপাতালে পৌঁছাবে। মুক্তি প্রাপ্ত বন্দি ও আটককৃতদের পরিবার তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছেন। রেড ক্রসের বাস ও গাড়ি বন্দিদের গ্রহণ করতে খান ইউনিস থেকে ইসরায়েলের সীমান্তে পৌঁছেছে।
তেল আবিবের হোস্টেজ স্কোয়ারেও ভিড় জমেছে। মুক্ত হওয়া প্রথম বন্দিদের স্বাগত জানাচ্ছে, গান গাইছে এবং উল্লাস করছে সবাই। মানুষ পতাকা এবং প্রিয়জনদের ছবি উঁচু করে ধরে রেখেছে। মানুষ এখন বাকি ১৩ জন বন্দির প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ইসরায়েলের অধিকার কর্মীরা তেল আবিবের একটি সৈকতে জড়ো হয়েছেন। সেখানে জিম্মিদের স্বাগত জানাতে ও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে প্রস্তুত তারা। হোস্টেজ স্কোয়ারে ট্রাম্প স্ক্রিনে আসলে উল্লাস ফেটে পড়েন তারা।
এদিকে রাফাহ সীমান্তে মিশরীয় পাশের ডজন ডজন হিউম্যানিটেরিয়ান ট্রাক গাজায় প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। গত তিন দিনে গাজার হাসপাতালগুলো ৩২৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে, যার মধ্যে ২৯৫ জনকে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।