জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ বর্জন করলেন বহু দেশের প্রতিনিধি
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করতেই বহু দেশের প্রতিনিধি সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।
হামাসের নেতৃত্বে গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা চলছে। এর মধ্যেই শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণে পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন নেতানিয়াহু।
তিনি অভিযোগ করেন, এসব দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়ে আন্দোলনকারীদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগকে প্রশ্রয় দিয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই সপ্তাহে ফ্রান্স, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ আরও কয়েকটি দেশের নেতারা নিঃশর্তভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তারা এটা করেছেন ৭ অক্টোবর হামাসের নৃশংসতার পর—যা ওই দিন ফিলিস্তিনের প্রায় ৯০ শতাংশ জনগণ সমর্থন করেছিল।'
এ সময় মার্কিন মিত্রদের একের পর এক কূটনৈতিক পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের বিচ্ছিন্নতা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কোনো সম্ভাবনা নেই; হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলি হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়।

অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দাবি, ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং অঞ্চলটির অধিকাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
নেতানিয়াহুর আগে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতারা সাধারণ পরিষদের ভাষণে গাজায় গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনেন। তবে এসব অভিযোগ ইসরায়েল সরকার দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে আসছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইসরায়েল আদালতের এই এখতিয়ার মানে না এবং অভিযোগও অস্বীকার করেছে। এর আগে নেতানিয়াহু তার বক্তব্যে বলেন, 'গণহত্যার এই মিথ্যা অভিযোগ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।'

এদিকে, হামাস জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধ বন্ধের শর্তে অবশিষ্ট সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে তারা প্রস্তুত।