হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমারু বিমানের মহড়ায় সামরিক শক্তি প্রদর্শন রাশিয়ার

রাশিয়া জানিয়েছে, তারা র্যারেন্টস সি'র একটি লক্ষ্যবস্তুতে জিরকন হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং সুখই-৩৪ সুপারসনিক ফাইটার-বোম্বার দিয়ে হামলার অনুশীলন চালিয়েছে। এই মহড়া বেলারুশের সঙ্গে যৌথ কৌশলগত সামরিক মহড়া "জাপাদ" (যার আক্ষরিক অর্থ হলো- পশ্চিম)-এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই মহড়ার উদ্দেশ্য রাশিয়া বা বেলারুশের ওপর সম্ভাব্য আক্রমণের ক্ষেত্রে সেনা কমান্ড ও সমন্বয় জোরদার করা।
মস্কো ও মিনস্ক দাবি করেছে, মহড়াটি সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক এবং ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশকে আক্রমণের প্রস্তুতি এর উদ্দেশ্য নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পোল্যান্ডের আকাশসীমায় রুশ ড্রোনের অনুপ্রবেশের ঘটনায় ন্যাটোর সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো "ইস্টার্ন সেনট্রি" অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে। এরমধ্যেই এ মহড়াটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জিরকন ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি প্রদর্শন
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নর্দান ফ্লিটের অ্যাডমিরাল গোলভকো যুদ্ধজাহাজ থেকে জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, জাহাজ থেকে উল্লম্বভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, এরপর তা কোণ বদলে দিগন্তের দিকে ছুটে যায়।
মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, "রিয়েল-টাইম পর্যবেক্ষণ তথ্য অনুযায়ী, লক্ষ্যবস্তু সরাসরি আঘাতে ধ্বংস হয়েছে।"
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০১৯ সালে বলেছিলেন, জিরকন শব্দগতির ৯ গুণে উড়তে সক্ষম এবং সমুদ্র ও স্থলভাগে ১,০০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
রুশ গণমাধ্যমের তথ্যমতে, জিরকন ক্ষেপণাস্ত্রের (রাশিয়ায় পরিচিত ৩এম২২ জিরকন নামে, ন্যাটো প্রদত্ত সাংকেতিক নাম এসএস-এন-৩৩) পাল্লা ৪০০ থেকে ১,০০০ কিলোমিটার এবং এর ওয়ারহেডের ওজন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি।
এ ছাড়া নর্দান ফ্লিটের দূরপাল্লার অ্যান্টি-সাবমেরিন বিমানও মহড়ায় অংশ নেয়। সু-৩৪ বোমারু বিমানের ক্রুরা স্থলভাগে বোমা হামলার অনুশীলন চালায়।