নোবেল শান্তি পুরস্কার নয়, আমি শুধু জীবন বাঁচাতে চাই: ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতার ইচ্ছা নিয়ে চলা আলোচনাকে গুরুত্বহীন বলেছেন। খবর বিবিসি'র।
সিবিএস নিউজকে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে বলার কিছু নেই। আমি যা পারি, তা হলো যুদ্ধ থামানো।' ট্রাম্প আরও বলেন, 'আমি মনোযোগ চাই না, আমি শুধু জীবন বাঁচাতে চাই।'
তবে এই বক্তব্য তার আগের মন্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আগে তিনি বলেছিলেন, কয়েকটি সংঘাত শেষ করতে তার ভূমিকার জন্য মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার তার প্রাপ্য।
ওই একই টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, 'কিছু না কিছু ঘটবে। আমরা এটি সম্পন্ন করব।'
আগামী বৃহস্পতিবার প্যারিসে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাম্প তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন। বৈঠকে সরাসরি যোগ দিচ্ছেন তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ১০ অক্টোবর ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি । এর আগে চার মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই পুরস্কার পেয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বারাক ওবামা।
গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প আক্ষেপ করে বলেন, 'তারা আমাকে কোনো দিন নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবে না। আমি এতা পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু তারা আমাকে দেবে না।'
এরপর জুলাইয়ে তার প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট সেই দাবি আরও জোরালো করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পকে পুরস্কার দেওয়ার এখন 'অনেক দেরি' হয়ে গেছে।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও একই সুরে কথা বলছেন। গত সপ্তাহে এক মন্ত্রিসভা বৈঠকে তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ট্রাম্পকে ইতিহাসের 'সর্বকালের সেরা' নোবেল প্রার্থী আখ্যা দেন। তার দাবি, ট্রাম্পের 'গেম-চেঞ্জিং' কাজের কারণে তিনি এই সম্মানের যোগ্য।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের পাঁচ সদস্যের কমিটি নরওয়ের পার্লামেন্ট থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত। ট্রাম্প নোবেল জয়ের আশা নিয়ে নরওয়ের অর্থমন্ত্রী ইয়েন্স স্টলটেনবার্গের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও জানা গেছে। তবে স্টলটেনবার্গ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ইসরায়েল ও পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, চলতি বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তান ও প্রতিবেশী ভারতের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি এর আগেও বলেছেন, ছয় বা সাতটি যুদ্ধ তিনি 'শেষ' করেছেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এসব সংঘাতের কয়েকটি কিছুদিনের মধ্যেই থেমে গিয়েছিল, যদিও এর পেছনে দীর্ঘদিনের বিরোধ কাজ করছিল। অনেক শান্তি চুক্তি টিকে থাকবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
