যে কারণে গিয়ের্মো দেল তোরোর ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ আরেক মাস্টারপিস হওয়ার পথে

গিয়ের্মো দেল তোরো বরাবরই দানব আর অদ্ভুত সৃষ্টির প্রতি মুগ্ধ। 'প্যান'স ল্যাবিরিন্থ' কিংবা 'দ্য শেপ অফ ওয়াটার'–এর মতো বহুল প্রশংসিত চলচ্চিত্রে তিনি প্রমাণ করেছেন, পর্দায় ভৌতিক চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলার ক্ষেত্রে তার দক্ষতার জুড়ি নেই—তাও আবার কম্পিউটার গ্রাফিক্সে ভর না করেই।
নতুন ছবিতে দেল তোরো এবার হাত দিয়েছেন সাহিত্যের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হরর–বিজ্ঞানকল্প গল্প 'ফ্রাঙ্কেনস্টাইন'–এ। মেরি শেলির এই কালজয়ী উপন্যাসকে তিনি পর্দায় তুলে আনছেন মূলত ব্যবহারিক প্রভাব (প্র্যাকটিক্যাল ইফেক্টস) দিয়ে।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দেল তোরো জানিয়েছেন, চলচ্চিত্রটিকে যতটা সম্ভব বাস্তবসম্মত রাখাই তার লক্ষ্য। বিশেষ করে, অস্কার আইজাক অভিনীত ভিক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের পরীক্ষাগার এবং চলচ্চিত্রের শেষ দৃশ্যে যেখানে বিজ্ঞানী ও তার ভয়াল সৃষ্টি (জ্যাকব এলোরডি) বিশাল জাহাজের মুখোমুখি হয়—এই দৃশ্যগুলোতে তিনি ১০০ শতাংশ বাস্তব উপস্থাপন নিশ্চিত করতে চেয়েছেন।
তবে দেল তোরোর দীর্ঘদিনের ভক্তদের কাছে এ সিদ্ধান্ত নতুন কিছু নয়। শুরু থেকেই তিনি মেকআপ শিল্পী, পোশাক ডিজাইনার ও অভিনেতাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পর্দায় এনেছেন এমন সব চরিত্র, যা দেখতে যতই অসম্ভব মনে হোক না কেন, পর্দায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
এ যাত্রায় তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী ডগ জোনস। 'হেলবয়',' প্যান'স ল্যাবিরিন্থ', 'ক্রিমসন পিক' কিংবা 'দ্য শেপ অফ ওয়াটার'—প্রতিটি চলচ্চিত্রেই জোনসের অভিনয়শৈলীকে ভরসা করে দেল তোরো নির্মাণ করেছেন ব্যতিক্রমী সব ভৌতিক চরিত্র।
অন্যদিকে, নেটফ্লিক্সের 'দ্য কিসিং বুথ' ফ্র্যাঞ্চাইজি ও এইচবিওর 'ইউফোরিয়া' দিয়ে পরিচিত জ্যাকব এলোরডি দর্শককে এতদিন মূলত রোমান্টিক নায়কের চরিত্রে দেখিয়েছেন। কিন্তু ফ্রাঙ্কেনস্টাইন–এ তিনি হাজির হচ্ছেন একেবারে নতুন রূপে। সুসজ্জিত চুল ও তারকা-সুলভ আভিজাত্যকে ঝেড়ে ফেলে, সবুজ ত্বক ও বিশাল চাদরে আবৃত হয়ে দেখা যাবে তাকে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানব হিসেবে।
আবার অস্কার আইজাক অভিনীত ভিক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের চরিত্রে এবার দর্শক তাকে খুঁজে পাবেন মানসিক দ্বন্দ্বে জর্জরিত এক খলনায়ক বিজ্ঞানীর ভূমিকায়।
ছবির সহশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মিয়া গথ, ফেলিক্স ক্যামেরা, ক্রিস্টফ ওয়াল্টজ, লার্স মিকেলসেন, রালফ ইনেসন, চার্লস ড্যান্স এবং বার্ন গোরম্যান।
ফ্রাঙ্কেনস্টাইন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ১৭ অক্টোবর, এবং ৭ নভেম্বর থেকে এটি দেখা যাবে নেটফ্লিক্সে।