ট্রাম্পের দাবি তিনি ছবি আঁকেন না, তবে নিলামে মিলেছে তার স্বাক্ষরিত স্কেচ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে তিনি ছবি আঁকেন না। তবে গেল শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্পের নামে স্বাক্ষরিত বেশ কিছু স্কেচ নিলামে বিক্রি হয়েছে—এর অনেকগুলোই তার নিউইয়র্কে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার হিসেবে কাজ করার সময়কার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নামে স্বাক্ষরিত এই ছবিগুলো কালো মার্কার পেন দিয়ে আঁকা সাদামাটা শহরের দৃশ্য বা স্থাপনার স্কেচ। ২০০০-এর দশকের শুরুতে এসব চিত্র কয়েকটি দাতব্য সংস্থায় দান করা হয়েছিল। পরে নিলামে এসব স্কেচ হাজার হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে।
'আমি ছবি আঁকি না'—এই মন্তব্য করে চলতি সপ্তাহে ট্রুথ সোশালে একটি পোস্ট দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এর একটি প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেই তিনি এই দাবি করেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০০৩ সালে যৌন অপরাধে দণ্ডিত জেফ্রি এপস্টিনকে জন্মদিন উপলক্ষে একটি কার্ডে ট্রাম্পের স্বাক্ষরের সাথে একটি যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আঁকা ছবি ছিল।
প্রতিবেদনের জেরে শুক্রবার ট্রাম্প ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও এর মালিক রুপার্ট মারডকের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করা হয়েছে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন ডলার।
তবে ট্রাম্প নিজেই ২০০৮ সালে প্রকাশিত 'ট্রাম্প নেভার গিভ আপ: হাউ আই টার্নড মাই বিগেস্ট চ্যালেঞ্জেস ইন্টু সাকসেস' বইয়ে তার শিল্পকর্মের কথা স্বীকার করেছেন। বইটিতে তিনি লিখেন, 'কিছু বিষয় আঁকতে আমার কয়েক মিনিট সময় লাগে। আমি সাধারণত উঁচু ভবনের দৃশ্য আঁকি এবং তাতে স্বাক্ষর করি। তবে এর মাধ্যমে নিউইয়র্কের ক্ষুধার্ত মানুষদের সহায়তায় হাজার হাজার ডলার উঠেছে।'
শুক্রবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর প্রতিবেদন এবং সেখানে উল্লেখিত অঙ্কনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আঁকার মিল থাকার যে কোনো ইঙ্গিত সাফ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
চিউং বলেন, 'প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল মিথ্যা খবর ছেপেছে এবং তিনি ওই প্রতিবেদনে বর্ণিত ধরনের কিছু কখনও আঁকেন না।'
তিনি আরও বলেন, 'নিউইয়র্ক টাইমস মিথ্যা ও মানহানিকর দাবি করছে। তারা যেভাবে ভুলভাবে তুলনা টানছে, তা প্রমাণ করে—এই গণমাধ্যম জনগণের শত্রু।'