পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি: যা জানা দরকার

আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় 'অত্যন্ত সফল' হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও বলেন, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ফোরদো ধ্বংস হয়ে গেছে।
কয়েকদিন ধরে চিন্তাভাবনার পর ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানে হামলায় যোগ দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প। এর ফলে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন মাত্রা পেল।
এদিকে, এই উত্তেজনার মাঝে যেকোনো সংকট মোকাবিলার জন্যে পারস্য উপসাগর ও আশপাশের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য সামরিক উপস্থিতি রয়েছে।

বর্তমানে এই অঞ্চলে দেশটির পাঁচটি এয়ার ফোর্স এক্সপেডিশনারি উইং সক্রিয় রয়েছে—কুয়েতে দুটি, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি করে, আরেকটি কাতারে।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা ইউনিটগুলোতে এফ-১৫ ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে।
আরেকটি উইং রয়েছে কাতারে। এর নিজস্ব আক্রমণ সক্ষমতা না থাকলেও এটি গোয়েন্দা তৎপরতা ও আকাশে জ্বালানি সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে সহায়তা করে।
গত দেড় বছরে কুয়েতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটি গড়ে তোলা হয়েছে। কাতারেও একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া বাহরাইনে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর। এর পাশাপাশি, 'কার্ল ভিনসন' ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ আরব সাগরে মোতায়েন রয়েছে। এতে রয়েছে নিজস্ব বিমানবাহী ইউনিট ও সহকারী যুদ্ধজাহাজ, যা ইয়েমেন উপকূল থেকে স্থলভাগে গভীরে হামলা চালাতে সক্ষম।
এর আগে, ২০২১ সালে ইরাকের কুদস বাহিনীর প্রভাবশালী জেনারেল কাশেম সোলাইমানি হত্যার বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে পারস্য উপসাগরজুড়ে উত্তেজনা বাড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আনে।
সেসময়, মার্কিন সামরিক বাহিনী পারস্য উপসাগর ও ওমান সাগরে বোমারু বিমান পাঠানোসহ উস্কানিমূলক তৎপরতা চালিয়েছে উল্লেখ করে ওই চিঠিতে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি পাঠায় ইরান।