প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে 'রক্ষা করবে': ট্রাম্প

প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করবে বলেই জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ফক্স নিউজের উপস্থাপক ব্রেট বাইয়ার জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট আবারও স্পষ্ট করেছেন যে, ইরানে ইসরায়েলের হামলায় ওয়াশিংটনের কোনো ভূমিকা ছিল না।
বাইয়ারের ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প বলেছেন, "ইরান পারমাণবিক বোমা রাখতে পারে না, এবং আমরা আবারও আলোচনার টেবিলে ফিরতে চাইছি। দেখা যাক কী হয়। নেতৃত্বে কয়েকজন রয়েছেন যারা আর ফিরে আসবেন না।"
ট্রাম্প আরও বলেছেন, ইরান যদি পাল্টা হামলা চালায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে প্রতিরক্ষায় সাহায্য করবে।
শুক্রবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে বড় ধরনের হামলা চালায় ইসরায়েল। 'অপারেশন রাইজিং লায়ন' নামক এই অভিযান চালানো হয়েছে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে, বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ইরানি কর্মকর্তার বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরানের রাডার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর তৃতীয় দফায় হামলা চালিয়েছে। ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি)-এর প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি এই হামলায় নিহত হয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা তাসনিমের খবরে আরও বলা হয়, আইআরজিসির আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা এবং দুইজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেদহি তেহরানচি ও ফেরেইদুন আব্বাসিও নিহত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার মতে, তেহরানের একটি আবাসিক ভবনে চালানো হামলায় নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা আলি শামখানি গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও নূর নিউজ জানিয়েছে। তবে খামেনি সুস্থ রয়েছেন এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আবুল ফজল শেকারচি ইসরায়েলকে এ হামলার 'চরম মূল্য' দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাপ্রধান এয়াল জামির জানিয়েছেন, তারা 'দশ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন' করেছে এবং সব সীমান্তে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করবেন।