উত্তেজনা বাড়াতে চায় না ভারত, গোপন বার্তা, পাকিস্তান-ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের যোগাযোগ

বুধবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর অবশেষে পাকিস্তান ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের (এনএসএ) মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া ভারতের আর উত্তেজনা বাড়ানোর ইচ্ছা নেই বলেও পাকিস্তানকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের এনএসএ ও আইএসআই-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক ভাতের এনএসএ অজিত দোভালের সঙ্গে কথা বলেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দুদেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই আলোচনা হয়েছে।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-কে বলেন, 'হ্যাঁ, পাকিস্তান ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা যোগাযোগ রাখছেন।'
টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও ইসহাক দার নিশ্চিত করেছেন, পাকিস্তান ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে। রাতের হামলার বিষয়ে দুই এনএসএর কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দার বলেন, 'হ্যাঁ, দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে।'
তবে দুই এনএসএর মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে বা যোগাযোগের উদ্দেশ্য কী ছিল, সে বিষয়ে কিছু বলেনননি তিনি।
পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা বলেন, এমন সংকটময় সময়ে এই ধরনের যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখা অত্যন্ত জরুরি।
ধারণা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর কৌশলী এবং ব্যাকডোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলেই দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে এই যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও-ও ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঠিক পরপরই পাকিস্তান ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) যদিও বলেছে, ইসলামাবাদ নিজের ইচ্ছামতো সময়, স্থান ও পদ্ধতি বেছে নিয়ে ভারতের হামলার জবাব দেবে, তারপরও জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের বক্তব্যের মধ্যে আরও পাল্টা জবাব না দেওয়ার ইঙ্গিতই বেশি ছিল।
সূত্র আরও জানিয়েছে, তৃতীয় একটি দেশ পাকিস্তানকে ভারতের আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপারে আগাম সতর্ক করেছিল। একই সূত্রে জানা গেছে, ভারতও গোপনে পাকিস্তানকে বার্তা দিয়েছে—তাদের আর উত্তেজনা বাড়ানোর ইচ্ছা নেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের এনএস দোভাল অন্যান্য কয়েকটি দেশের এনএসকে আশ্বস্ত বলেছেন, ভারতের উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।