মেৎর্স -ম্যাখোঁ বৈঠক: 'যৌথ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদ' গঠনের ঘোষণা জার্মানি-ফ্রান্সের

দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎর্স ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ 'যৌথ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদ' গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (৭ মে) প্যারিসে এক বৈঠকে নবনির্বাচিত জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎর্স এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর মধ্যে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে কার্যভার গ্রহণের পরের দিনই বিদেশ সফরের প্রথম গন্তব্য হিসেবে প্যারিসকে বেছে নিয়েছিলেন মেৎর্স ৷ এই সফরের প্রতীকী তাৎপর্য স্পষ্ট—এটি ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে নতুন এক অধ্যায় শুরু করার সংকেত।
মেৎর্স ও ম্যাখোঁর যৌথ সংবাদ সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা ছিল 'ফ্রাঙ্কো-জার্মান প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদ' গঠনের সিদ্ধান্ত।
ঘোষণায় বলা হয়, ইউরোপ যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়েছে সেগুলো মোকাবিলায় উভয় দেশ 'যৌথ প্রতিক্রিয়া জানাতে' এবং 'পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে' অঙ্গীকারবদ্ধ।
ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেৎর্স জানান, তিনি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কিয়েভ সফরের পরিকল্পনা করছেন।
তিনি জানান, তাদের লক্ষ্য হলো 'একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি' করা।
যুদ্ধক্ষেত্রে সেনা মোতায়েন নিয়ে সরাসরি প্রতিশ্রুতি না দিলেও চ্যান্সেলর ম্যার্ৎস বলেন, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর জার্মানি ও ফ্রান্স ইউক্রেনকে 'নিরাপত্তা নিশ্চয়তা' দেবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের আরও জোরালো অঙ্গীকারের মাধ্যমেই এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
ইউক্রেনে দীর্ঘপাল্লার টারাস ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন: 'এ বিষয়ে যত কম বলা যায় ততই ভালো।'
পারমাণবিক প্রতিরোধ (নিউক্লিয়ার ডিটারেন্স) সংক্রান্ত স্পর্শকাতর বিষয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর বলেন, তিনি 'ইউরোপ মহাদেশে ফ্রান্স ও গ্রেট ব্রিটেনের সঙ্গে' এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চান।
তিনি আরও বলেন, এই আলোচনা 'ন্যাটোর অধীনে মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের যে সমঝোতা আছে, তার একটি পরিপূরক হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে'।