আবদালি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পাকিস্তানের, ‘উস্কানিমূলক’ বলছে ভারত

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছানোর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতিকে 'উস্কানিমূলক' এবং পরিস্থিতিকে 'বিপজ্জনকভাবে ঘোলাটে করার চেষ্টা' বলে অভিহিত করেছে ভারত।
শনিবার বার্তা সংস্থা পিটিআই-এর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, এমন 'অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে' ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পদক্ষেপ কেবল 'সরাসরি উস্কানি' নয়, বরং ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ানোর প্রচেষ্টা।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারত জানিয়েছে, এই হামলার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশের যোগসূত্র রয়েছে এবং এর পেছনে যারা রয়েছে, তাদের 'কঠোর শাস্তি' দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ একাধিক আন্তর্জাতিক শক্তি এ হামলার নিন্দা জানিয়ে দুই দেশকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, 'পাকিস্তান চলতি সপ্তাহেই ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে। এটি একেবারেই বেপরোয়া ও উসকানিমূলক একটি পদক্ষেপ এবং ভারতের বিরুদ্ধে বৈরী আচরণের বিপজ্জনক রূপ।'
তারা আরও জানান, হামলার পর থেকেই পাকিস্তান আরব সাগরে নৌ-মহড়া জোরদার করেছে, সমুদ্রে ক্রমাগত সতর্কবার্তা জারি করছে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে।
ভারতের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে জানানো হয়েছে, হামলার 'মূলহোতা, মদদদাতা এবং পরিকল্পনাকারীদের' বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে 'সম্পূর্ণ স্বাধীনতা' দিয়েছেন।
বৈঠকে মোদি বলেন, 'সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জাতীয় অঙ্গীকার।'
এরপর ২৩ এপ্রিল ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে ছিল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, একমাত্র কার্যকর স্থলবন্দর অ্যাটারিকে বন্ধ ঘোষণা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক নিম্নপর্যায়ে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত।
এরই প্রেক্ষিতে পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য বন্ধ করে দেয় এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করে।
পাকিস্তান ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, পানি সরবরাহ বন্ধ করা হলে তা 'যুদ্ধ ঘোষণার সামিল' হিসেবে গণ্য করা হবে।