পেশোয়ারগামী ট্রেনে হামলা, গুলিবর্ষণ; ‘জরুরি ব্যবস্থা’ বেলুচিস্তান সরকারের

বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় পেশোয়ারগামী একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি পেহরো কুনরি ও গাদালার মাঝামাঝি পৌঁছালে অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিরা গুলিবর্ষণ করে।
বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্ড জানান, হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তবে দুর্গম পথ ও পাথুরে এলাকা হওয়ায় উদ্ধারকাজে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।
রেলওয়ে কন্ট্রোলার মোহাম্মদ কাশিফ জানান, নয়টি কোচ বিশিষ্ট ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিল। তিনি বলেন, '৮ নম্বর টানেলে সশস্ত্র ব্যক্তিরা ট্রেনটি থামিয়েছে। যাত্রী ও রেলওয়ে স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।'
কাচ্চি বোলানের জেলা পুলিশ কর্মকর্তা রানা মোহাম্মদ দিলাওয়ার বলেন, 'ট্রেনটি পাহাড়ঘেরা একটি টানেলের সামনে আটকা পড়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এন-৬৫ হাইওয়েতেও।'
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিবি হাসপাতালসহ আশপাশের হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ও নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
রেলওয়ে বিভাগ জানিয়েছে, তারা উদ্ধারকারী ট্রেন পাঠিয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকার হামলার পেছনে সন্ত্রাসী সম্পৃক্ততার বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'নিরীহ যাত্রীদের ওপর হামলাকারীরা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না।' তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসে এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর পাকিস্তান রেলওয়ে কোয়েটা-পেশোয়ার রুটে ট্রেন চলাচল পুনরায় চালু করেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে কোয়েটা রেলস্টেশনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ২৬ জন নিহত এবং ৬২ জন আহত হন।