স্নাতক শেষ করেছেন, কিন্তু লিখতে-পড়তে জানেন না! দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের

অ্যালেইশা অর্টিজের বয়স এখন ১৯। তার স্বপ্ন তিনি একদিন গল্প লিখবেন, হয়ত একটি বইও লিখে ফেলবেন। সদ্য হাইস্কুল শেষ করা এক কিশোরীর জন্য স্বাভাবিক এটি আকাঙ্ক্ষা হতে মনে হতে পারে। কিন্তু অ্যালেইশার জন্য এটি অনেক বেশি কঠিন।
গত জুনে অ্যালেইশা যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের হার্টফোর্ড পাবলিক হাইস্কুল থেকে স্নাতক শেষ করেন এবং কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য একটি বৃত্তি পেয়েছেন। কিন্তু আলেশা নিরক্ষর। তিনি বলেন, তিনি পড়তে বা লিখতে পারেন না।
বেশিরভাগ হাইস্কুল শিক্ষার্থী স্নাতকের আগে গর্বিত ও উচ্ছ্বসিত অনুভব করে। কিন্তু আলেশা সিএনএনকে বলেন, তিনি ভীত।
তিনি একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর মতোই স্নাতক শেষ করেন। আর এটি একজনের শিক্ষাগত যোগ্যতাকেই প্রমাণ করে। কিন্তু হার্টফোর্ডের সরকারি স্কুলে ১২ বছর পড়ার পর অ্যালেইশা ২০২৪ সালের মে-তে সিটি কাউন্সিলের এক বৈঠকে জানান যে তিনি পড়তে বা লিখতে পারেন না।
যার কারণে হঠাৎ করে তার স্কুল কর্তৃপক্ষ তার স্নাতক সনদ প্রদান নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
তিনি জানান, স্নাতক শেষ করার দুই দিন আগে স্কুল জেলা কর্মকর্তারা তাকে প্রস্তাব দেন যে তিনি তার ডিপ্লোমা গ্রহণ স্থগিত রেখে বিশেষ সহায়তা নিতে পারেন। কিন্তু অ্যালেইশা সে কথা শোনেননি।
অ্যালেইশা বলেন, "স্কুলের হাতে ১২ বছর ছিল। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন এটি আমার সময়।"
অ্যালেইশা এখন হার্টফোর্ড বোর্ড অফ এডুকেশন এবং হার্টফোর্ড সিটির বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগে মামলা করেছেন। পাশাপাশি, তার বিশেষ শিক্ষার কেস ম্যানেজার টিলডা সান্তিয়াগোর বিরুদ্ধেও মানসিক অবহেলাজনিত প্ররোচনার অভিযোগ এনেছেন।
বোর্ডের চেয়ারম্যান জেনিফার হকেনহাল এ মামলা নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
হার্টফোর্ড সিটির প্রধান আইনি কর্মকর্তা জোনাথন হার্ডিংও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি সিএনএনকে বলেন, "আমি সাধারণত চলমান মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করি না।"
সিএনএন সান্তিয়াগোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে, তবে তার আইনজীবীর মাধ্যমে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
হার্টফোর্ড পাবলিক স্কুলস সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "হার্টফোর্ড পাবলিক স্কুলস চলমান মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবে না। তবে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সকল প্রয়োজন মেটাতে এবং তাদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।"
তবে একজন শিক্ষক বলেছেন, অ্যালেইশার ঘটনা তাকে অবাক করেনি।
সেন্ট্রাল কানেকটিকাট স্টেট ইউনিভার্সিটির লিটারেসি সেন্টারের পরিচালক জেসি টার্নার বলেন, পাবলিক স্কুলে বিশেষ শিক্ষার মান অনেক সময় নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট এলাকার জিপ কোড ও জনসংখ্যাগত বৈশিষ্ট্যের ওপর।
পাবলিক স্কুলে সমতা নিশ্চিতকরণে কাজ করা সংস্থা এডবিল্ডের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ অশ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থী অধ্যুষিত স্কুলগুলো শ্বেতাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাগুলোর তুলনায় ২৩০০ কোটি মার্কিন ডলার কম তহবিল পায়।
হার্টফোর্ডের পাবলিক স্কুলগুলোতে ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯০ শতাংশ।
টার্নার বলেন, "আমেরিকার নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, আমরা কি সত্যিই আমাদের শিশুদের, আমাদের সকল শিশুকে, নিয়ে ভাবি?"
স্কুলে 'দুষ্ট শিশু' হিসেবে পরিচিতি
অ্যালেইশা পুয়ের্তো রিকোতে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে ছোটবেলা থেকেই তার শেখার ঘাটতির লক্ষণ দেখা গিয়েছিল বলে জানান তার মা কারমেন ক্রুজ। তিনি জানান, শুরু থেকেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তার মেয়ের বিশেষ সহায়তা দরকার।
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রুজ বলেন, "আমি দেখেছি, তার একটি নির্দিষ্ট সমস্যা রয়েছে যা তাকে মোকাবিলা করতে হবে।"
অ্যালেইশা যখন পাঁচ বছর বয়সী তখন ক্রুজ তার পরিবারকে কানেকটিকাটে নিয়ে যান। তিনি মনে করেছিলেন, সেখানে অ্যালেইশা তার শেখার সমস্যার জন্য ভালো সহায়তা পাবে।
কিন্তু স্কুলে তার সংগ্রাম অব্যাহত থাকে।
মামলার নথি অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণিতে থাকাকালীন অ্যালেইশার অক্ষর, শব্দ ও সংখ্যা চেনায় সমস্যা ছিল। তবে তার শিক্ষাগত সমস্যাগুলো যথাযথভাবে সমাধান করা হয়নি, যার ফলে সে ক্লাসে অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে।
"আমি ছিলাম দুষ্ট শিশু," বলেন অ্যালেইশা।
মামলার নথি অনুসারে, অ্যালেইশা যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পৌঁছায় সেখানে সে তখনও কিন্ডারগার্টেন বা প্রথম শ্রেণির পাঠ্যসূচির স্তরে পড়াশোনা করছে।
উচ্চ বিদ্যালয়েও অবস্থার উন্নতি হয়নি। হার্টফোর্ড পাবলিক হাইস্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়, টিল্ডা সান্তিয়াগো অ্যালেইশার বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক ও কেস ম্যানেজার হন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, সান্তিয়াগো বারবার তাকে "বুলিং ও হয়রানির" শিকার করেছেন, এমনকি স্কুল চত্বরে তার পেছনে লুকিয়ে ঘোরাঘুরি করতেন।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, সান্তিয়াগো শিক্ষকদের ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে অ্যালেইশাকে হেয় করেছেন এবং তার শেখার অক্ষমতাকে নিয়ে উপহাস করেছেন।
অ্যালেইশা জানায়, সে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানায় এবং শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে অস্বাভাবিক সম্পর্কের কারণে সান্তিয়াগোকে তার কেস ম্যানেজারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
অ্যালেইশা আরও জানায়, তার মা-ই তার হয়ে সরব ছিলেন এবং প্রধান শিক্ষকসহ স্কুল কর্তৃপক্ষকে মেয়ের শেখার অক্ষমতা দূর করতে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। চার সন্তানের জননী ক্রুজ ইংরেজি বলতে পারেন না এবং অষ্টম শ্রেণির পর আর স্কুলে যাননি।
ক্রুজ বলেন, "আমি ভালো ইংরেজি জানতাম না, স্কুলের নিয়মও বুঝতাম না। তারা অনেক কিছু বলত, আর আমি শিক্ষকদের কথামতোই চলতাম, কারণ আমি কিছুই বুঝতে পারতাম না।"
একাদশ শ্রেণিতে এসে, যখন অ্যালেইশা দেখল যে সে এখনো সঠিকভাবে পেন্সিল ধরতে পারছে না, তখন সে নিজেই নিজের হয়ে কথা বলা শুরু করে। সে বুঝতে পারে, যদি কখনও নিজের লেখক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চায় বা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই পড়তে ও লিখতে জানতে হবে।
তার দ্বাদশ শ্রেণিতে কিছু শিক্ষক অ্যালেইশাকে ডিসলেক্সিয়ার জন্য পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। এটি একটি শেখার অক্ষমতা, যেখানে ব্যক্তি ধ্বনিগুলোর সাথে অক্ষর ও শব্দের সম্পর্ক বুঝতে ব্যর্থ হওয়ায় পড়তে সমস্যায় পড়ে।
এছাড়াও, দ্বাদশ শ্রেণিতে অ্যালেইশা একটি চমকপ্রদ ঘোষণা দেয় যে সে কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে এবং শরৎকাল থেকে ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা করেছে।
স্নাতক শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে, অ্যালেইশা জানায়, অবশেষে তার চাওয়া অতিরিক্ত পরীক্ষাগুলো শুরু হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, এই মূল্যায়নগুলো শেষ হতে হতে তার হাইস্কুলের শেষ দিন এসে যায়। পরীক্ষার ফলাফল দেখায়, অ্যালেইশার এখনও সুস্পষ্টভাবে পাঠ দক্ষতা, স্বচ্ছন্দতা এবং পাঠ-বোঝাপড়া শেখার প্রয়োজন
ফোনিক্স বা ধ্বনিবিদ্যা সাধারণত কিন্ডারগার্টেন থেকেই শেখানো হয়।
অ্যালেইশার আগে থেকেই অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার (এডিএইচডি), অপোজিশনাল ডিফায়েন্ট ডিজঅর্ডার (ওডিডি), অনির্দিষ্ট উদ্বেগজনিত ব্যাধি এবং অনির্দিষ্ট যোগাযোগজনিত ব্যাধি নির্ণয় করা হয়েছিল। নতুন পরীক্ষায় আরও প্রকাশ পায় যে, সে ডিসলেক্সিয়াতেও আক্রান্ত।
'আমি শুধু চারপাশে শব্দ দেখি… যার কোনো অর্থ নেই'
গত শরতে, অ্যালেইশা কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হয় এবং দুটি কোর্স নেয়। তার ইচ্ছে পাবলিক পলিসি পড়ার।
তাহলে পড়তে বা লিখতে না পারা অ্যালেইশা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলো? সে বলছে, ঠিক একইভাবে যেভাবে সে স্কুল পেরিয়েছে। সে এমন প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে, যা লিখিত পাঠকে ভাষায় রূপান্তর করে এবং বক্তৃতাকে লেখায় রূপান্তরিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র পূরণ করা থেকে শুরু করে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে সে। এমনকি, প্রবেশিকা রচনাও লিখেছে অ্যাপের সাহায্যে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় অন্যদের কাছ থেকেও সহায়তা পেয়েছে এবং কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য বিভিন্ন অনুদান ও শিক্ষাবৃত্তিও পেয়েছে সে।

অ্যালেইশা বলেন, "এই অ্যাপগুলো আমাকে এমন একটি কণ্ঠ দিয়েছে, যা আমি কখনো কল্পনাও করিনি।"
অ্যালেইশা আরও বলেন, "তার শিক্ষকেরা মূলত তাকে এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে তুলে দিতেন, কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা নিশ্চিত করতেন না। তবে উচ্চ মাধ্যমিকে ওঠার পর তিনি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করার কৌশল রপ্ত করেন।"
যখন বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরী শপিং মলে ঘুরে বেড়াত, স্কুলের বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নিত বা ডেটে যেত, তখন অ্যালেইশা প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ধরে বাড়ির কাজ করত।
সে প্রতিটি ক্লাস মোবাইল ফোনে রেকর্ড করত, পরে শিক্ষকের বক্তব্য বারবার শুনত। ল্যাপটপের ভয়েস-টু-টেক্সট টুল ব্যবহার করে প্রতিটি শব্দের অর্থ খুঁজে বের করত, তারপর সেই লেখা অডিওতে রূপান্তর করে বোঝার চেষ্টা করত।
যখন কোনো অ্যাসাইনমেন্ট বুঝতে পারত, তখন উত্তর বলে দিত, সেটিকে টেক্সটে রূপান্তর করত এবং কপি-পেস্ট করে হোমওয়ার্ক জমা দিত।
অ্যালেইশা বলছে, তার সীমিত শব্দভাণ্ডার এবং উচ্চারণজনিত সমস্যার কারণে প্রযুক্তির অনুবাদ সবসময় সঠিক বা ব্যাকরণসম্মত হত না। তবে এই প্রযুক্তির সহায়তায় তার গ্রেড সি ও ডি থেকে বেড়ে এ ও বি-তে উন্নীত হয়।
সে জানায়, স্কুল থেকে ফিরে আসার পরপরই বাড়ির কাজ শুরু করত এবং প্রতিদিন রাত ১ বা ২টা পর্যন্ত শেষ করার চেষ্টা করত। এরপর সকাল ৬টায় উঠে স্কুলবাস ধরে আবার ক্লাসে যেত।
অ্যালেইশা সিএনএনের সামনে দেখিয়েছে সে কীভাবে অ্যাপটি ব্যবহার করে। সে একটি বই থেকে একটি অংশ বেছে নিয়ে তার ফোনে ছবি তোলে এবং তারপর অডিও প্লে করে ওই অংশটি শুনে নেয়।
যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় সে বইয়ের অংশটি নিজে পড়ে দেখতে পারবে কিনা, অ্যালেইশা সিএনএনকে জানায়, "এটা অসম্ভব। আমি শুধু শব্দগুলো দেখতে পাই... কিন্তু কোনো অর্থ খুঁজে পাই না।"
অ্যালেইশা বলছে, কলেজের পড়াশোনা তার জন্য খুব কঠিন হয়ে উঠেছে। ইউকন তাকে অ্যাকাডেমিক সহায়তা দিচ্ছে, তবে সে ১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ক্লাসে যোগ দেয়নি। সে জানায়, মানসিক স্বাস্থ্যগত চিকিৎসার জন্য কিছুদিন বিরতি নিয়েছে। তবে শিগগিরই ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
কানেকটিকাটের এক শিক্ষক টার্নার বলেন, ডিওই (ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন) বন্ধ করা একটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে। তার মতে, যদি শিশুদের শিক্ষার জন্য তহবিলের দায়িত্ব প্রতিটি রাজ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে সব রাজ্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে না।
তিনি বলেন, "আমি কীভাবে বিশেষ শিক্ষা গ্রহণকারী শিশুদের সুরক্ষা দেব? আমি কার কাছে যাব?"
তিনি আরও বলেন, "ডিওই এমন একটি সংস্থা যেখানে স্কুল, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ জানাতে পারেন, কারণ কোনো অভিযোগ এলে তারা তদন্ত করতে বাধ্য।"
অ্যালেইশা বলেন, সে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে কারণ স্কুলের কর্মকর্তারা কি করছেন তা জানেন না এবং পরোয়া করেন না। সে চায়, যা ঘটেছে তার জন্য তারা জবাবদিহি করুক। পাশাপাশি, সে ক্ষতিপূরণও দাবি করছে।
অ্যালেইশার মা ক্রুজ সিএনএনকে বলেন, "তিনি এখন কথা বলছেন যাতে আমার অবস্থানে থাকা অন্য কেউ যেন একই পরিস্থিতির শিকার না হয়।"
হার্টফোর্ডের সরকারি স্কুলে ১২ বছর কাটানোর পর পেছনে ফিরে তাকিয়ে অ্যালেইশা বলেন, তাকে পড়তে ও লিখতে শেখানো হয়নি। এটা ভেবে সে দুঃখ অনুভব করে। তবে সে বলছে, সে কথা বলতে থাকবে, কারণ তার বিশ্বাস, তার শহরের স্কুলগুলো আরও ভালো করতে পারে।
অ্যালেইশা বলেন, "আমি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ এবং আমি শিখতে ভালোবাসি। মানুষ আমার শেখার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু এখন আমি কলেজে আছি এবং আমি এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। কারণ এই শিক্ষা আমার।"