‘নেতৃত্ব দেওয়ার অযোগ্য’: ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস এডিটোরিয়াল বোর্ডের সম্পাদকীয়

নির্বাচনের আগে নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় বোর্ড সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
গত শনিবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনটিতে সমালোচকরা বলেছে, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে তা দেশের জন্য ক্ষতিকর। ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন নেই। সবাই ইতোমধ্যেই তার সম্পর্কে জানেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, "আপনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চেনেন। তিনি নেতৃত্বের জন্য অযোগ্য। তাকে দেখুন। যারা তাকে ভালোভাবে চেনেন, তাদের শুনুন। তিনি একটি নির্বাচন উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এবং গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে আছেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের গর্ভপাত নিয়ে করা আইন রো বনাম ওয়েডকে উলেট দিতে চেয়েছিলেন। যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারতো। তিনি নির্বাচনের বাইরেও দুর্নীতি ও আইন অমান্য করেছেন। এটিই তার সমগ্র নীতি। তিনি সীমাহীনভাবে মিথ্যা বলেন। তিনি পুনরায় নির্বাচিত হলে, রিপাবলিকান ন্যাশনাল পার্টি (জিওপি) তাকে আর কোনো বাঁধা দিতে পারবে না। ট্রাম্প সরকারকে ব্যবহার করে তার প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন। তিনি নির্বাচিত হলে নিষ্ঠুর নীতি অবলম্বন করবেন। যার কারণে অনেকেই দেশ থেকে বিতাড়িত হতে পারেন। তিনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত এবং নিয়োগকর্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবেন। তিনি আবার নির্বাচিত হলে জলবায়ুর ক্ষতি বাড়বে, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে এবং স্বৈরাচারীদের শক্তি বাড়বে। আমেরিকানদের উচিত এর চেয়ে ভালো কিছু দাবি করা। ট্রাম্পের আরেকটি মেয়াদ জলবায়ু, মিত্রতার ভিত্তি এবং স্বৈরাচারীদের শক্তি বাড়াবে। ভোটে আমেরিকানদের উচিত এর চেয়ে ভালো কিছু দাবি করা।"
গত সপ্তাহে টাইমস-এর সম্পাদকীয় বোর্ড একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভোটারদের ট্রাম্পকে নির্বাচিত না করার আহ্বান জানিয়েছে।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, "ডোনাল্ড ট্রাম্প বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন তিনি প্রেসিডেন্ট হলে কী কী বিপজ্জনক ও অশান্তিমূলক পদক্ষেপ নেবেন।"
সেখানে বলা হয়েছে, "আমেরিকান ভোটারদের জন্য আমাদের দুটি কথা আছে: তাকে বিশ্বাস করুন।"
আরেকটি সম্পাদকীয়তে ট্রাম্পের ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমালা হ্যারিসকে 'একমাত্র যোগ্য দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রপতি প্রার্থী' বলে অভিহিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হ্যারিস দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার অঙ্গীকার করেছেন এবং ট্রাম্প এ পদের জন্য 'নৈতিকভাবে অযোগ্য' হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।