এখন থেকে বছরে একবারের বেশি ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় স্বর্ণ আনা যাবে না

বর্তমান শুল্ক পরিশোধ সুবিধার আওতায় ঘন ঘন দেশে স্বর্ণ আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে ব্যাগেজ রুলসে পরিবর্তন এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এখন থেকে কোনো যাত্রী বছরে একবারের বেশি ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় স্বর্ণ আনতে পারবেন না।
আজ (২ জুন) অর্থমন্ত্রী ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ রেকর্ডকৃত বক্তব্যের মাধ্যমে এই সংশোধনের ঘোষণা দেন।
বর্তমানে ঘোষণা দিয়ে একজন যাত্রী বছরে যতবার ইচ্ছা ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি স্বর্ণ আনতে পারেন এবং এতে ৪০ হাজার টাকা কর দিতে হয়।
এই পরিবর্তনের ফলে কোনো যাত্রী বছরে একবারের বেশি ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় স্বর্ণ আনতে পারবেন না।
বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি থাকলেও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতারা বলছেন, আমদানির তুলনায় ব্যাগেজ রুলসের আওতায় স্বর্ণ আনা তুলনামূলক সস্তা। তাই অনেকে আমদানির বদলে যাত্রীদের মাধ্যমে ব্যাগেজ রুলস ব্যবহারে বেশি আগ্রহী।
এমনকি অনেক চোরাচালানকারীও এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরকার ২০১৮ সালে দেশে বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি দিলেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, ওই বছর থেকে চার বছরে আনুস্থান চ্যানেলে দেশে এসেছে মাত্র ১৪৫ কেজি স্বর্ণ—যা দেশে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদার এক শতাংশেরও কম।
তবে ব্যাগেজ রুলসের আওতায় প্রতিদিন শত কেজির বেশি স্বর্ণ দেশে প্রবেশ করছে, যা আইনি হলেও আমদানির হিসাব ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকছে।
উল্লেখ্য, আগের ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন নারী যাত্রী ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কার বিনা শুল্কে আনতে পারতেন।