ইউক্রেনের একাধিক শহরে রাশিয়ার বোমা হামলা

আজ সোমবার সকাল থেকে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বোমা হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। ভ্লাদিমির পুতিন ক্রিমিয়া সেতু বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসী হামলা ঘোষণা দেওয়ার পর ইউক্রেনের শহরগুলোয় বোমা বিস্ফোরণ শুরু হয়।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একাধিক বিস্ফোরণের খবর জানিয়েছে রয়টার্স ও বিবিসি।
দেশটির পশ্চিমের এল্ভিভ, টারনোপিল, ঝাইট্মির থেকেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। রাশিয়ার বেলগোরদ অঞ্চলের সীমান্তেও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
কিয়েভের ব্যস্ততম এলাকায় হামলায় একাধিক হতাহত ও ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের খবর জানিয়েছে বিবিসি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের পরপর রাস্তার মধ্যে আগুনে জ্বলতে থাকা কিছু গাড়ির পাশে রাস্তার মধ্যে জিনস পরিহিত এক লোক পড়ে ছিলেন। এক পার্কে আহত এক নারীর ক্ষততে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে কাপড় কাটছিলেন এক সৈনিক। পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন আরেক নারী।
শহরের পুলিশের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত পাঁচজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সকালে বোমা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই অনেকে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী মেট্রো স্টেশন আর গ্যারেজে আশ্রয় নেয়।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রাম অ্যাপে লিখেছেন, 'তারা আমাদের পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাইছে।"
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা টুইট করে লিখেছেন, "পুতিনের একমাত্র কৌশল হলো ইউক্রেনের শান্তিপূর্ণ শহরে ত্রাস সৃষ্টি করা, তবে তিনি ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে পারবেন না। যারা শান্তি আলোচনা করতী চায় তাদের প্রতি পুতিনের প্রতিক্রিয়া এমনই। পুতিনের একজন সন্ত্রাসী যিনি মিসাইল দিয়ে কথা বলেন"।
হামলায় বেশ কিছু অবকাঠামো আর রাস্তার যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বোমা হামলায় যাপোরিঝঝিয়া শহরের আরেকটি অ্যাপার্ট্মেন্ট বিল্ডিং ধসে গেছে। অঞ্চলটির গভর্নর ওলেকসান্দার স্তারুখ আজ সকালে জানিয়েছেন, অন্তত একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে ও পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের পর পুতিন একে সন্ত্রাসী হামলা ঘোষণা দেয়, ক্রেমলিনের টেলিগ্রাম চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ইউক্রেনের স্পেশাল সার্ভিসের নির্দেশে এ হামলা হয়েছে।
ইউক্রেন সেতুতে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি, তবে এ ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বার্তা দেয় দেশটির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা।