ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ—প্রথম অভিনেতা যার নামে দুবাইয়ে নির্মিত হচ্ছে আকাশচুম্বী টাওয়ার
ভারতীয় সিনেমার অন্যতম বড় তারকা শাহরুখ খান আবারও ইতিহাস গড়লেন। সিনেমা, রিয়েল এস্টেট আর বৈশ্বিক খ্যাতির এক অনন্য মিশ্রণে বিশ্বের প্রথম অভিনেতা হিসেবে দুবাইয়ের একটি আকাশচুম্বী ভবনে নিজের নাম লেখালেন 'বলিউডের বাদশা'।
শুক্রবার মুম্বাইয়ে এক জমকালো অনুষ্ঠানে এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে শাহরুখ খান নিজে উপস্থিত ছিলেন এবং এটি সঞ্চালনা করেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু, পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান।
অনুষ্ঠানে 'শাহরুখজ বাই দানিউব' নামের এই চোখধাঁধানো প্রকল্পটি উন্মোচন করা হয়। দানিউব গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বলিউড সুপারস্টারের নামে ৫৫ তলা এই বাণিজ্যিক টাওয়ারটি দুবাইয়ের অভিজাত শেখ জায়েদ রোডে নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট জগতেও পা রাখলেন শাহরুখ।
এই সম্মান প্রাপ্তির পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে শাহরুখ খান বলেন, 'দুবাইয়ের মতো একটি শহরের বুকে আমার নামে একটি স্থাপনা তৈরি হচ্ছে এবং আমি চিরকালের জন্য এই শহরের দৃশ্যপটের অংশ হতে যাচ্ছি, এটা একাধারে বিনয় এবং আবেগের বিষয়। দুবাই আমার কাছে সবসময়ই একটি বিশেষ জায়গা—এমন একটি শহর যা স্বপ্ন, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং সম্ভাবনাকে উদযাপন করে। 'শাহরুখজ বাই দানিউব' নামের এই বাণিজ্যিক টাওয়ারটি একটি প্রতীক, যা দেখায় বিশ্বাস এবং কঠোর পরিশ্রম মানুষকে কতদূর নিয়ে যেতে পারে।'
এর সঙ্গে থাকা একটি ভিডিওতে শাহরুখ হিন্দিতে বলেন, 'আমরা স্বপ্নের পেছনে ছুটি না, আমরা স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করি। ঐতিহ্য উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যায় না, এটি তৈরি করতে হয়। এই ভবনটি সেই ঐতিহ্যেরই অংশ।'
৬০ বছর বয়সী এই অভিনেতার নামে টাওয়ার বানানোই হবে না কেন! দুবাইকে সবসময় নিজের 'দ্বিতীয় বাড়ি' বলে এসেছেন এই 'পাঠান' তারকা। আমিরাতের প্রথম বলিউড তারকাদের মধ্যে একজন, যিনি সেখানে সম্পত্তি কিনেছিলেন। পাম জুমেইরাহতে তার একটি বিলাসবহুল ভিলা রয়েছে, যার নাম 'জান্নাত'।
১ মিলিয়ন বর্গফুটের এই টাওয়ারটির দাম শুরু হচ্ছে ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন দিরহাম থেকে। উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক ও দ্রুত-বর্ধনশীল ব্যবসাগুলোর জন্য এটি একটি বৈশ্বিক ঠিকানা হয়ে উঠবে বলে আশা করছে দানিউব গ্রুপ।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, ভবনের প্রবেশপথে শাহরুখের দুই হাত প্রসারিত করার আইকনিক ভঙ্গিমার একটি ভাস্কর্যও থাকবে, যাতে দর্শনার্থীরা ছবি তুলতে পারেন। ২০২৯ সালের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
