হলিউড আইকন অভিনেতা-পরিচালক রবার্ট রেডফোর্ড আর নেই

'দ্য স্টিং' এবং 'বুচ ক্যাসিডি অ্যান্ড দ্য সানড্যান্স কিড' এর মতো ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকে তার অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ছিলেন সবচেয়ে পরিচিত, কালজয়ী অভিনেতা থেকে হয়ে উঠেছিলেন অস্কারজয়ী পরিচালক। সেই রবার্ট রেডফোর্ড আর নেই, পাড়ি জমিয়েছেন মহাপ্রস্থানের পথে।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
আজ মঙ্গলবার তার জনসংযোগ কর্মকর্তা সিন্ডি বার্জার জানান, নিজ বাড়ি - 'অ্যাট সানড্যান্স ইন দ্য মাউন্টেনস অব উটাহ'-তে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন রবার্ট। এই বাড়ি ছিল তার ভালোবাসার, আর সেখানেই যাদের তিনি ভালোবাসতেন তাদের দ্বারা পরিবৃত্ত হয়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।
সিন্ডি জানান, রবার্টের শূন্যতা ব্যাপকভাবে অনুভূত হবে। তবে তার পরিবারের সদস্যরা শোকের এই সময়টায় একান্ততা চাইছেন।
লস অ্যাঞ্জেলসে জন্মগ্রহণ করা রবার্ট ১৯৫০'এর দশকে প্রথম মঞ্চে পারফর্ম করেন। এরপর ৬০'এর দশকে শুরু করেন টেলিভিশনে বা ছোট পর্দার ক্যারিয়ার। এরপর 'ওয়ার হান্ট' চলচ্চিত্রের হাত ধরে প্রবেশ করেন রূপালী পর্দার জগতে।
১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া 'দ্য স্টিং' সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য অস্কারের মনোনয়ন পান রবার্ট।

১৯৮০ সনে 'অর্ডিনারি পিপল' দিয়ে শুরু হয় তার পরিচালক ক্যারিয়ার, এই নির্মাণ জিতেছিল চার চারটি একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, যার মধ্যে ছিল সেরা চলচ্চিত্র এবং সেরা পরিচালকের পুরস্কার। এই পরিচালক ভূমিকাতেই ছড়িয়েছেন আরও দ্যুতি।
২০০২ সালে অনারারি লাইফটাইম এচিভমেন্ট অস্কার দেওয়া হয় তাঁকে।
যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ রাজ্যে সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও পরিচিত রেডফোর্ড। স্বতন্ত্র চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহ ও তার প্রসারে ভূমিকা রাখে এই আয়োজন।
২০১৮ সালে তিনি ঘোষণা দেন 'দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য গান'- চলচ্চিত্রেই থাকছে পর্দায় অভিনীত তার শেষ চরিত্র।
রবার্ট রেডফোর্ড সর্বশেষ বিয়ে করেছিলেন সিবেল স্যাগার্সকে। ২০০৯ সালের এই বিয়েই টিকেছিল মৃত্যুর আগপর্যন্ত।
এর আগে বিয়ে করেন লোলা ফন ওয়াগনেনকে। চার সন্তানের জন্ম দেওয়া পরে ১৯৯৫ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
এই চার সন্তানের মধ্যে আছে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। এদের মধ্যে মাত্র দুই মাসের শিশু অবস্থায় মারা যায় স্কট। আর ২০২০ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরেক ছেলে জেমস।
তবে রবার্টের দুই মেয়েই জীবিত আছেন। তারাও কিন্তু বাবার মতোই শিল্পজগতেই নাম লিখিয়েছেন। এক মেয়ে শনা একজন শিল্পী, আর এমি হয়েছেন পরিচালক।