তিনটি চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছেন পিটার জ্যাকসন, বললেন এখনও অবসর নিইনি

অস্কারজয়ী নির্মাতা পিটার জ্যাকসন 'হবিট' ট্রিলজি শেষ করার পর দীর্ঘ ১১ বছর পেরিয়ে গেছে। এরপর আর কোনো চলচ্চিত্র পরিচালনা না করলেও তিনি একেবারে বসে ছিলেন না।
এ সময়ে তিনি পরিচালনা করেছেন বিটলস ডকু-সিরিজ গেট ব্যাক এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধভিত্তিক থ্রিডি প্রামাণ্যচিত্র দে শ্যাল নট গ্রো ওল্ড, যেখানে পুরনো ফুটেজকে রঙিন ও পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মর্টাল ইঞ্জিনস চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচনা ও প্রযোজনার দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যানিমে দ্য লর্ড অব দ্য রিংস: দ্য ওয়ার অব দ্য রোহিরিম-এ তাকে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে দেখা গেছে।
তবে জে. আর. আর. টলকিনের ওপর নির্মিত শেষ চলচ্চিত্রের পর থেকে আর কোনো সিনেমার সেটে নেতৃত্ব দেননি জ্যাকসন। যদিও তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সিনেমা জগত থেকে অবসর নেননি।
সম্প্রতি স্ক্রিনর্যান্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'না না, আমি একেবারেই অবসর নেই। আমরা এখন তিনটি ভিন্ন স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করছি। এই মুহূর্তে আমি তিনটি ভিন্ন চিত্রনাট্য লিখছি।'
তিনি জানান, লর্ড অব দ্য রিংস মহাবিশ্ব এবং বিটলস নিয়ে আরও নতুন প্রকল্প আসছে।
তিনি বলেন, 'আমরা দ্য হান্ট ফর গলম লিখেছি এবং প্রযোজনা করছি। আগামী বছর এটি নির্মাণ করবেন অ্যান্ডি সারকিস। আমি ডকুমেন্টারি নিয়ে কাজ উপভোগ করেছি—বিশেষ করে গেট ব্যাক: দ্য বিটলস নিয়ে। বিটলস নিয়ে বিভিন্ন কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে এবং ভবিষ্যতেও এটা চলবে।'
তবে কোন ছবি তিনি নিজে পরিচালনা করবেন, তা নির্দিষ্ট করে জানাননি।
তিনি জানান, তার সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় হলো বিলুপ্তপ্রায় বিশাল মোয়া পাখিকে ফিরিয়ে আনার কাজ।
জ্যাকসন বলেন, 'আমার কাছে মোয়া পাখিকে পুনরুজ্জীবিত করা যেকোনো সিনেমার চেয়েও বেশি রোমাঞ্চকর হবে। আমি বহু সিনেমা বানিয়েছি, কিন্তু যদি বিশাল মোয়া পাখিকে ফিরে আসতে দেখি, তাহলে সে উত্তেজনা যেকোনো চলচ্চিত্রের চেয়েও বেশি হবে আমার কাছে।'
জ্যাকসন এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছেন বায়োটেক প্রতিষ্ঠান কলোসাল বায়োসায়েন্সেস-এ, যেটিকে তিনি উল্লেখ করেন এই উদ্যোগের মূল কারিগর হিসেবে।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র 'ডি-এক্সটিংশন' প্রতিষ্ঠান, যারা অতীতকে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বর্তমান রক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও বলছে, 'ডি-এক্সটিংশন'-এর সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারণের পাশাপাশি এর পেছনের বিজ্ঞানের জন্য মানদণ্ড তৈরি করাও তাদের লক্ষ্য।